Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও পুলিশ : জাতিসংঘ

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। আর এ অপরাধ করে চলেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও পুলিশ। বিবিসি নিউজনাইট-বিবিসি আওয়ার ওয়ার্ল্ডের যৌথ অনুসন্ধানের এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ইয়াংঘি লি। এমন একটি অনুষ্ঠানে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও অংশ নেননি মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান ও স্টেট কাউন্সিলর (কার্যত প্রধানমন্ত্রী) অং সান সু চি।
লি বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ, যা তিনি ধারণাও করতে পারেননি। সাক্ষাতকালে জাতিসংঘ দূত আরো বলেন, আরাকানে (রাখাইন) মানবতার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অপরাধ হচ্ছে। মিয়ানমারের লোকজন, দেশটির সামরিক বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা পুলিশ অথবা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এ অপরাধ করছে।
জাতিসংঘের এ দূত দাবি করেন, এই নিপীড়ন বার্মিজ নিরাপত্তা বাহিনীর ‘সিস্টেমেটিক (পদ্ধতিগত)’। কিন্তু অং সান সু চির সরকারকে অবশ্যই এই অপরাধের কিছু না কিছু দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
লি মনে করেন, দিন শেষে সেখানে বেসামরিক সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে। নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত ব্যাপকভিত্তিক ভয়ংকর নিপীড়ন ও নিষ্ঠুর অপরাধের বিষয়ে দিন শেষে বেসামরিক সরকারকেই জবাব দিতে হয়।
মানবাধিকার পরিস্থিতি পরিদর্শনে গত জানুয়ারিতে মিয়ানমারে যান ইয়াংঘি লি। তাকে আরাকানের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ঢুকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে দেয়নি দেশটির সরকার। তবে সেখানে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে গত ফেব্রæয়ারিতে কক্সবাজার সফরকালে কথা বলেছেন তিনি।
এর প্রতিক্রিয়ায় সু চি সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের অভিযোগ ‘অতিরঞ্জিত’ এবং ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়, আন্তর্জাতিক নয়’।
ইয়াংঘি লি’র সফর সম্পর্কিত প্রতিবেদন ১৩ মার্চ প্রকাশ করা হতে পারে। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে পাওয়া সব তথ্য উল্লেখ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ মাস ধরে মিয়ানমার সরকার দেশটির উত্তরের রাখাইন রাজ্যে বাইরের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা স¤প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে, তাও সরকার পৃথিবীর কাউকে জানতে দিতে চায় না। তবে শেষ পর্যন্ত হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ