পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাধবপুর উপজেলা সংবাদদাতা : আউলিয়ায়ে ক্বেরাম যুগবর্তমান ফেতনা ফ্যাসাদের যুগে ঈমান আকিদা রক্ষা করার লক্ষ্যে হক্কানী পীর আউলিয়াদের অনুসরণের কোন বিকল্প নেই। সত্যিকারের মুসলমান হতে হলে হক্ক দরবার এবং হক্কানী পীর মাশায়েখের সহবতে আসতে হবে। ইলমে শরীয়ত ও তরিকতের ময়দানে কঠোর সাধনা করতে হবে। আজ সমাজের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, হারাম উপার্জন, হিংসা-বিদ্বেষ ও দুর্নীতির কারণে পরিবার, সমাজ ও দেশের সর্বস্তরে আজ অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।
নৈতিক চরিত্র সংশোধনের মাধ্যমে মানব জীবনের চরিত্রের পরিবর্তন আনতে হবে। পৃথিবীর কোথাও শান্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে পর্যন্ত আল্লাহর জিকির প্রত্যেকের অন্তরে জারি না করা যাবে। অলি-আউলিয়াদের কাজ হচ্ছে পথহারা ও দিশেহারা মানুষকে আল্লাহর পথে আনয়ন করা। শিরক ও কুফর থেকে বাঁচতে হবে। শিরক একটি জঘন্য অপরাধ, ক্ষমার অযোগ্য। তাওবা ছাড়া আল্লাহ শিরককারীদের ক্ষমা করবেন না।
পীর সাহেব আরও বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রেজামন্দি লাভ করতে হলে তরিকত পন্থীদের চারটি কাজ নিয়ম মাফিক করতে হবে। যথা, ফাতেহা শরীফ পাঠ, মোরাকাবা মোশাহেদা, দরুদ শরীফ ও খতম শরীফ ঠিকমত আদায় করা। একাধারে ৪০ দিন পর্যন্ত তরিকতের কাজ করলে চরিত্রের নৈতিক পরিবর্তন অবশ্যই ঘটবে। এর কোন ১টি ব্যতিক্রম হলে, তরিকত বা মারিফতের জগতে উন্নতি সাধন করা সম্ভব হবে না। ইলমে শরিয়ত ও ইলমে মারিফত ছাড়া কোন মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারবে না। শরিয়তের পাশাপাশি ইলমে মারিফত ও তরিকতের মাধ্যমেই অলি-আউলিয়াদের ফয়েজ, বরকত লাভ করা সম্ভব। শরিয়ত বাদ দিয়ে মারিফত অর্জন করা সম্ভব নয়। পীর ও মাজার শরীফে সেজদা করা যাবে না তা সম্পূর্ণ হারাম।
তিনি গত ১০ মার্চ শুক্রবার ফান্দাউক খেলার মাঠে পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহ সূফী আলহাজ্ব সৈয়দ আব্দুস সাত্তার নকশেবন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রহঃ) ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল মোজাদ্দেদে জামান হযরত শাহ সূফী আলহাজ্ব সৈয়দ নাছিরুল হক মাছুম আল ক্বাদরী চিশতি নকশেবন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রহঃ) দ্বয়ের কেন্দ্রীয় বার্ষিক ইছালে ছওয়াব মাহফিলের ১ম দিন সভাপতির বয়ান দানকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মাহফিলের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, বাংলাদেশ যুব খাদিমুল ইসলামের সভাপতি পীরজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি শাহ সূফী সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল হোসাইনী ও সার্বিক তত্ত¡াবধানে পীরজাদা আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক আল হোসাইনী ও পীরজাদা আলহাজ্ব সৈয়দ বাকের মস্তোফা আল-হোসাইনী এবং উপস্থাপনা করেন, আলহাজ্ব মাওলানা মোশাহিদ হোসাইন, উদ্বোধন করেন, হযরত শাহসূফী পীরজাদা বাহাউদ্দিন খোকন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।