Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ আজ থেকে শুরু

বেকার জেলেরা এখনো সরকারী চাল পায়নি

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম : ইলিশের বংশ বিস্তারসহ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ পালিত হতে যাচ্ছে। মৎস্য্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সায়েদুল হক আজ বরগুনার আমতলী কলেজ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সপ্তাহের সূচনা করবেন। জাটকা আহরণে ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নৌর‌্যালীসহ ব্যাপক প্রচারণা চালাবার কথা রয়েছে মৎস্য্য অধিদফতরের। তবে বিগত দিনে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কার্যক্রম অনেকটাই সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা গেছে। এবার তার কতটুকু ব্যতিক্রম ঘটবে তা দেখার অপেক্ষায় পর্যবেক্ষক মহল। ইলিশের বংশ বিস্তারসহ এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত বছর ১ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশেই জাটকা আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ রয়েছে। এর আগে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরের ২২ দিন মূল প্রজনন মওসুমে উপকূলের প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকার ইলিশ প্রজননস্থলে সব ধরনের মাছ আহরণসহ সারা দেশেই ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ ছিল। মৎস্য্য অধিদফতরের মতে, গত এক যুগে দেশে ইলিশের উৎপাদন ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা ৩ লাখ ৯৫ হাজার টনে পৌঁছেছে। চলতি অর্থবছরের শেষে জাতীয় এ মাছের উৎপাদন ৪ লাখ ১০ হাজার টনে উন্নীত হবার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য্য অধিদফতরের একটি দায়িত্বশীল মহল।
তবে নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্তÑ এ ৭ মাস জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে বেকার জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানসহ তাদের চাল সরবরাহের কার্যক্রমও এখন যথেষ্ট ঝিমিয়ে পড়েছে। অন্যান্য বছর ফেব্রæয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৪ মাস উপকূলের জেলেদের মাসে ৩০ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হত। চলতি বছর জাটকা আহরণের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত স¤প্রসারিত হলেও মার্চের মধ্যভাগ চলে এলেও জেলেদের চালের দেখা নেই। মৎস্য্য অধিদফতর থেকে ১ লাখ জেলে পরিবারের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে ৫ লাখ টান বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে আবেদন পাঠানো হলেও গতকাল পর্যন্ত তার কোন বরাদ্দ মেলেনি বলে মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। অথচ গত সাড়ে ৪ মাস ধরে জাটকা আহরণ থেকে জেলেদের বিরত রাখা হচ্ছে। ফলে উপকূলভাগসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক জেলে বেকার। অথচ ছোট ফাঁসের জাল নিয়ে নদীতে নামলেই জেল-জরিমানায় পড়তে হচ্ছে। মৎস্য অধিদফতরসহ পুলিশ-প্রশাসনের অভিযানে জেলেদের সাজা হচ্ছে।
 মৎস্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলীয় এলাকায় জাটকা নিধন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ২ হাজার ৭০২ টি। এসময় প্রায় ৯০ টন জাটকা ছাড়াও প্রায় ৯৮ লাখ মিটার কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ জাল আটক করে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ৬৫২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রায় ২৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ছাড়াও ১৩৭ জেলে ও মৎস্যজীবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐাদেশও দেয়া হয়েছে।  
মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, সারা বিশ্বে আহরিত ইলিশের ৫০-৬০% বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। মায়ানমারে ২০-২৫% এবং অবশিষ্ট ১০-১৫% ভারতে আহরিত হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় ইলিশের উৎপাদন হ্রাস পেলেও বাংলাদেশে তা ৩-৪% পর্যন্ত বাড়ছে বছরে। ফলে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমায় ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে ভারতীয় জেলেরা অনেকটা অবাধেই বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের পানি সীমায় প্রবেশ করে ইলিশ ধরে নিচ্ছে।
আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ইলিশের একক অবদান ১%-এরও বেশী। মৎস্য সম্পদে একক প্রজাতি হিসেবে এ মাছের অবদান প্রায় ১২-১৩%। আর এ কারণেই ইলিশের বংশ বিস্তার ও এ সম্পদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মৎস্য বিজ্ঞানীদের সুপারিশের আলোকে সরকার প্রজনন মওসুমে ইলিশ আহরণসহ নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত টানা ৭ মাস সারাদেশে জাটকা আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩০ নভেম্বর থেকে ৩০ মে হলেও চলতি বছর থেকে তা আরো দু’মাস বৃদ্ধি করে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন করা হয়েছে। পাশাপাশি জাটকার সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইতোপূর্বে ৯ ইঞ্চি সাইজের ইলিশকে জাটকা হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এখন ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত ইলিশকে জাটকা হিসেবে আখ্যায়িত করে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি মৎস্য অধিদফতরের সুপারিশের আলোকে অন্যান্য বছরের মত এবারও পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীতে নভেম্বর-জানুয়ারী মাসের সময়কালকে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রাখা হয়। একইভাবে নিম্ন মেঘনা নদী, শাহবাজপুর চ্যানেল ও তেঁতুলিয়া নদীতেও গত ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এছাড়াও শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং দক্ষিণে চাঁদপুর জেলার মতলব ও শরিয়তপুর উপজেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকায় মার্চ-এপ্রিল মাসে দেশের ৫ম অভয়াশ্রম ঘোষণা করে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
মৎস্য বিজ্ঞানীগণ বরিশালের হিজলা উপজেলার নাছকাটি পয়েন্ট, হরিনাথপুর পয়েন্ট, ধুলখোলা পয়েন্ট এবং মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ভাষান চর পয়েন্ট এলাকার মেঘনার শাখা নদী, হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ ও নয়া ভাঙনী নদী এবং মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার লতা নদীর ৬০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ ও জাটকার ষষ্ঠ অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছেন। বিষয়টি এখন সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন বলে জানা গেছে।
আমাদের মৎস্য বিজ্ঞানীগণ ইতোমধ্যে দেশের উপকূলীয় প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘ইলিশ প্রজনন এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯৮৭-৮৮ সালে দেশের অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক জলাশয় থেকে সর্বমোট ইলিশ উৎপাদন ও সহনীয় আহরণের পরিমাণ ছিল মাত্র ১.৮৩ লাখ মেট্রিক টন। ৯৪-৯৫ সালে তা ২.১৩ লাখ টন ও ২০০০-০১ সালে ২.২৯ লাখ টনে উন্নীত হয়। কিন্তু ২০০২-০৩ সালে দেশে ইলিশ উৎপাদন মাত্র ১.৯৯ লাখ টনে হ্রাস পায়। ফলে বিষয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে সরকার মৎস্য বিজ্ঞানীদের সুপারিশের ভিত্তিতে ঐ বছর থেকেই ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে ‘জাটকা নিধন বন্ধ’র প্রাথমিক কর্মসূচী গ্রহণ করে। এর পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচীর আওতায় ইলিশ সম্পদ রক্ষাসহ এর ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব প্রদান করায় দেশে ইলিশ সম্পদ গত দেড় দশকে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, অভিপ্রায়নী মাছ ইলিশ প্রতিদিন স্রোতের বিপরীতে প্রায় ৭১ কিলোমিটার বিচরণ করে থাকে। ইলিশ সারা বছর ডিম ছাড়লেও আশ্বিনের বড় পূর্ণিমার আগে পড়ে শতকরা ৬০-৭০ ভাগেরও বেশী মা ইলিশ প্রজনন করে থাকে বিধায় ২০০৭ সাল থেকে এ সময়ে আহরণে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। এতে করে প্রচুর পরিমাণ মা ইলিশ আহরণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে। ফলে দেশে অন্য মাছের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন প্রতিবছর ৪% থেকে ৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মাদারীপুরের হাট-বাজারে জাটকা বিক্রি
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরে হাটে-বাজারে জাটকা নিধনকারীরা বাজারে জাটকা বিক্রিতে তেমন কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় জাটকা মাছ বিক্রি এখন প্রকাশ্যেই চলছে। মৎস্য বিভাগের নাকের ডগায় মাদারীপুর জেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীতে জাটকা ধরা হচ্ছে এবং জেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রির পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরা ফেরী করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাটকা মাছ বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যানেজ করে নির্বিঘেœ জাটকা আহরণ ও বিক্রি করছে অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মৎস্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীর কারণে প্রতিবছর ঘটা করে জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হলেও জাটকা ধরা বন্ধ হয় না তা শুধু লোক দেখানো বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল। জেলা প্রসাশন মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীকে সাজা জরিমানা করলেও জাটকা বিক্রিতে তেমন কোন ফেলছে না। তাছাড়া এ ব্যাপারে প্রশাসনের সাথে যথাযথ সমন্বয় ও মনিটরিংয়ের অভাবের অভিযোগ রয়েছে মৎস্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, ঘটা করে আগামী ০১ এপ্রিল জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’র উদ্বোধন করার পূর্বে শুরু হয়েছে নদীতে জাটকা নিধন ও বিক্রি। মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মা নদীতে জাটকা ধরা হচ্ছে এবং তা হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। শহরের পুরান বাজার, ইটেরপুল, চরমুগরিয়া, মস্তফাপুর, রাজৈর, টেকেরহাট, কবিরাজপুর, কদমবাড়ি, শ্রীনদী, শিবচর, পাচ্চর, উৎরাইল, কাওড়াকান্দি, চান্দেরচর, নিলখী, কালকিনি, ভূরঘাটা, গোপালপুর, ঝুরগাঁও, খাশেরহাট, সাহেবরামপুর, ডাসার, শশীকরসহ জেলার ছোট-বড় বিভিন্ন হাট-বাজারে ঝুঁড়ি-ঝুঁড়ি জাটকা বিক্রি হচ্ছে।
আড়ৎগুলোতে প্রতিদিন ভোর রাত ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। এ ছাড়াও প্রতিদিন সকাল-বিকাল মাদারীপুর শহরের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র পুরান বাজার মাছের আড়তে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। অথচ, মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কারো চোখে পড়ছে না। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গোপনে জেলে নৌকা ও আড়ৎ থেকে জাটকা ক্রয় করে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করছে।
গত শনিবার র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা কুলপদ্দি চৌরাস্তায় এক অভিযান চালিয়ে ১০০০ হাজার কেজি আটক করে রেজাউল করীম তপন দাস নামে ২ জন জেলেকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ দিনের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
অপরদিকে গত বুধবার সদর থানার মস্তফাপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি জাটকা উদ্ধারসহ  জসীম সরদার ও এসকান বেপারী নামে ২ জনকে আটক করে। পরে মোবাইল কোর্ট তাদের ১ বছরে সশ্রম কারাদÐ প্রদান করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
আজ থেকে জাটকা ইলিশ ধরা নিষেধ
কক্সবাজার অফিস জানান, দেশে চলমান জাটকা রক্ষা কার্যক্রম অধিক বেগবান করার লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আলোকে কক্সবাজারসহ জেলাব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূিচ গ্রহণ করা হয়েছে।  
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আলীম জানান কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে “জাটকা ইলিশ ধরবো না, দেশের ক্ষতি করবো না” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপনে ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ জেলাব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কক্সবাজার মৎস্য অধিদপ্তর। উপরোক্ত কর্মসূচি উদযাপনের জন্য মহেশখালী উপজেলাকে থিম উপজেলা হিসাবে কেন্দ্রীয় ভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর অংশ হিসাবে ১১ মার্চ সকাল ১০টায় মহেশখালী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হবে। এরপর সাড়ে ১০ টায় উপজেলা মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৭ উদ্ধোধন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ও সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ