পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে ‘ষড়যন্ত্র করায়’ দেশবাসী মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তার পরিবারের সদস্যদেরও ওই ষড়যন্ত্রে জড়ানোর খুব চেষ্টা করা হয়েছিল। আমার বোন, আমার ছেলে, মেয়ে, প্রত্যেককে, যে অত্যাচার আমাদের ওপর দিয়ে গেছে মানসিকভাবে, সেটা আমি আপনাদের ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। শুধু একটা ব্যাংকের এমডি পদের জন্য একটা দেশের এতবড় সর্বনাশ যে করতে পারে- আমি জানি না, সে বিচার দেশবাসী করবে। জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেইটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এই কাজ শুরু করা ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’ ছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন যে, আমাদের দেশেরই কিছু স্বনামধন্য লোকের ব্যক্তিস্বার্থের জন্যই- ব্যক্তিস্বার্থ কী? একটা ব্যাংকের এমডির পদ, সেই এমডির বয়স হয়ে গেছে, পদে থাকতে পারবে না। সেইটা নিয়ে কতবড় একটা ষড়যন্ত্র করল।
বাংলাদেশে পদ্মা সেতু হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি সুফল পাবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবার কথা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যে এটা কত প্রয়োজন, সেই সেতুর কাজ পর্যন্ত বন্ধ করাল। ওই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক টাকা বন্ধ করে দিল মিথ্যা একটা অভিযোগ দিয়ে। সেখানে নাকি দুর্নীতি হয়েছে। আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা অনেক প্রলোভন দিয়েছিল। এটা করলে টাকা দেবে, ওটা করলে টাকা দেবে। তখন বললাম, ওই মিথ্যা অপবাদ মাথায় নিয়ে ওই টাকা নেব না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা প্রমাণ করতে না পারবা। সেটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল, সেখানে আমরা জয়ী হয়েছি।
পদ্মা সেতু নিয়ে কানাডার আদালতের সা¤প্রতিক রায়ের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সব অভিযোগ যে ‘ভুয়া, বানোয়াট’ তা ওই রায়েই প্রমাণ হয়েছে। আমি এটুকু বলতে পারি যে, যেহেতু সততার সাথে রাষ্ট্র চালাচ্ছি, এতোটুকু খুঁত কারও পায়নি। আমি জাতির পিতার কন্যা হিসাবে অন্তত এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের জনগণের মান-মর্যাদা আমাদের জন্য বা আমাদের পরিবারের কারও জন্য ক্ষুণœ হবে না।
শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে একের পর এক পাটকল বন্ধ করে পাটকে ধ্বংস করে দিয়েছিল বিএনপি। ’৯১ সালে বিএনপি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শে তারা একটা চুক্তি সই করে। এই চুক্তিটা ছিলো কী? তারা বাংলাদেশে একে একে পাটকলগুলো বন্ধ করে দেবে। ’৯৩ সাল থেকে এই বন্ধের কাজ শুরু হবে এবং গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে পাটকলগুলোর শ্রমিকদের তারা বিদায় দিয়ে দেবে। তার জন্য তারা টাকা পেলো। ঠিক একই সময় বিশ্বব্যাংক ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করে নতুন নতুন পাটকল তৈরি করার জন্য। পার্লামেন্টে আমি এবং আমরা অনেকে এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলাম যে, আড়াই লাখ বেল পাট রপ্তানির মার্কেট যদি বিদেশে থেকে থাকে, তাহলে বাংলাদেশে কেন পাটকল বন্ধ হবে? আর ভারত কেন নতুন পাটকল করার সুযোগ পাবে?
প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে একথাও বলেছিলাম, আমাদের তো সব সময় ভারতের দালাল বলেন। কিন্তু এই দালালির যে একটা জ্বলন্ত উদাহরণ সামনে, এটার কী করবেন? তাদের কোনো জবাব ছিল না। কারণ, তাদের ওই একটাই; টাকা পাবে আর বিশ্বব্যাংক বলেছে। বিশ্বব্যাংক যা বলেছে, মনে হয় ফেরেশতা এসে কথা বলেছে। যা বলেছে সেটা করতে হবে। এভাবে তারা আমাদের পাটকলগুলো একে একে ধ্বংস করে দেয়। ২০০২ সালের ৩০ জুন এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী মিল বন্ধ করে দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। এতে প্রায় ২৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগের ফলে আপনারা দেখেন- পাটের সোনালী দিন আবার ফিরে এসেছে। পাট হচ্ছে একটি কৃষিপণ্য, এর সঙ্গে আমার হাজার হাজার কৃষকের জীবন জড়িত এবং যে জমিতে পাট চাষ হয় তা প্রাকৃতিকভাবেই শস্যবর্তনের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ সরকার সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পাটের তৈরি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেয়। এর ফলে পাটের সোনালী দিন ফিরেছে। যার অংশ হিসেবে দেশব্যাপী পাট দিবস এবং পাটপণ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাট পরিবেশবান্ধব, এর থেকে আর উন্নত কিছু হতে পারে না। পাট উৎপাদন ও সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাট থেকে বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করে তা আমরা রপ্তানি করবো। পলিথিনের ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পচনশীল পাটের ব্যাগ আবিষ্কার হয়েছে। পাটের সোনালী দিন ইনশাল্লাহ ফিরে এসেছে। অনুষ্ঠানে পাটের শাড়ি পরে আসা প্রধানমন্ত্রী পাটের শাড়ি ও হাতব্যাগ ব্যবহারে সকলকে উৎসাহিত করেন।
সরকার প্রধান বলেন, পাটের শাড়ি না হলে কিন্তু এক সময় বাংলাদেশে বিয়ে হতো না। পাটপণ্য আমাদের সকল কাজে লাগে। পাটের সব কিছুই কাজে লাগে- পাটখড়ি থেকে শুরু করে পাট শাক আমাদের কাজে লাগে। এখন শুধু ৩৫ রকম পণ্য উৎপাদন করা যায় পাট দিয়ে।
পাটের জিন রহস্যের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলমের অবদানের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এখন আর আমাদের মাঝে নেই। তার থাকাটা খুব দরকার ছিলো। ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর খুব গোপনীয়তার সাথে আমরা এই গবেষণাটি করেছিলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা এর ফলাফলটা পেয়েছিলাম; ততক্ষণ প্রচার করিনি। ফলে পাটের উন্নত চাষাবাদের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পাটের মেধাস্বত্ব অধিকার (Patent right) পেয়েছি। পাট এখন বাংলাদেশেরই সম্পদ।
স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মা তার রুগ্ন সন্তানকে কোলে নিয়ে সেবা-শুশ্রুষা করে যেমন সুস্থ করে তোলে ঠিক সেভাবেই সমস্ত কলকারখানাগুলো, পাটকল, বস্ত্রকল প্রভৃতি জাতীয়করণ করে সেগুলো পুনরায় চালু করেন বঙ্গবন্ধু। ধীরে ধীরে এসব প্রতিষ্ঠানে মানুষের অন্ততপক্ষে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।
প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ’৫৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে (যুক্তফ্রন্ট সরকার) তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং তিনি ‘জুট মার্কেটিং কর্পোরেশন’ গড়ে তোলেন। এই পাটের রপ্তানি, উৎপাদন, বিপণন ও গবেষণা কার্য বৃদ্ধি করার জন্য।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর সোনালী আঁশ পাটকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকসান দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দেওয়া পাটকলগুলোকে। ওই সময় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৭টি পাটকলের মধ্যে ৬০টি বিক্রি করা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের উদ্যোগের ফলে আপনারা দেখেন- পাটের সোনালী দিন আবার ফিরে এসেছে। পাট হচ্ছে একটি কৃষিপণ্য, এর সঙ্গে আমার হাজার হাজার কৃষকের জীবন জড়িত এবং জমিতে পাট চাষ হয় তা প্রাকৃতিকভাবেই শস্যবর্তনের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ায়। কাজেই আমাদের পাটের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, পাটের তৈরি বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশে। গত বছর দেশের পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানি আয় ছিল সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকারও বেশি। বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে কাঁচা পাটের দাম মণপ্রতি একহাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ২০০ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার ও চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এবং ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা ২০১৩’ কার্যকর করেছে। ইতোমধ্যে ১৭টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য।
পাটশিল্পের পুনরুজ্জীবন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর সরকার গঠনের পর আমরা বন্ধ থাকা বস্ত্র ও পাটকলসমূহ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমরা বন্ধ থাকা খুলনার খালিশপুর জুটমিল, সিরাজগঞ্জের কওমী জুটমিলসহ ৫টি পাটকল ও ২টি বস্ত্রকল চালু করেছি। এতে প্রায় ২১ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন জোরদার হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘কপ-২১’ সম্মেলনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ পরিবেশ রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। কাজেই পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে পাটের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।
তিনি বলেন, পাটের বহুমুখী ব্যবহারের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের মাধ্যমে এ লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ‘জুট জিও টেক্সটাইল’ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি। দেশে ও বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় জুট জিও টেক্সটাইল আমাদের পাটের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে পাটের বহুমুখীকরণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দশটি ক্যাটাগরিতে দশ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কৃার প্রাপ্তরা হলেন, পলিথিনের ব্যাগের বিকল্প পাটের শপিং ব্যাগের উদ্ভাবক ড. মোবারক আহমেদ খান। পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক এই মহাপরিচালক পাট থেকে ঢেউটিন আবিষ্কার করেছেন। পাট পাতা থেকে পানীয়ের উদ্ভাবক এইচ এম ইসমাইল খান। তিনি এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিসহ বিভিন্ন দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কৃষি বিষয়ক গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। উচ্চ ফলনশীল উফশী বিজ উদ্ভাবক পাটচাষী খিতীশ চন্দ্র রায়, সেরা পাট বীজ উৎপাদনকারী আবদুর রশীদ, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল সোনালী আঁশ ইন্ডাস্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারি। সেরা কাঁচাপাট রপ্তানিকারক ঢাকা ট্রেডিং হাউজ লিমিটেডের টিপু সুলতান, সেরা পাটপণ্য রপ্তানিকারক পাটকল জনতা জুট মিলস্ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদুল হক, সেরা পাট সুতা রপ্তানিকারক মেসার্স আজিজ জুট মিলস্ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন, সেরা বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানিকারক রাশেদুল করিম মুন্না, সর্বোচ্চ পাট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খুলনার মেসার্স তাসরিয়া জুট ট্রেডিংয়ের কুতুবউদ্দিন হাওলাদার। এছাড়াও পাট নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতেও পুরস্কার তুলে দেন শেখ হাসিনা। আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণের পর প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখেন এবং বহুমুখী পাট পণ্যের মেলা উদ্বোধন করে তা ঘুরে দেখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।