Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তার মরীচিকা

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছাড় দেবেন না প্রধানমন্ত্রী
আহমদ আতিক : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ১৯৫২ সাল থেকেই দেন-দরবার চলে আসছে। ১৯৮৩ সালে পানি ভাগাভাগি নিয়ে প্রাথমিক সমঝোতা হয়। কিন্তু চুক্তি হয়নি। বর্তমানেও এ চুক্তি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। মাস যায়, বছর যায়, শুধু প্রতিশ্রæতি আর আশ্বাসের বাণী। একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার ফলে বাংলাদেশের ১১২ মাইল দীর্ঘ এ নদী শুকিয়ে এখন মৃতপ্রায়। এ নদীর ওপর নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার ডালিয়া ও দোয়ানীতে নির্মিত তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলে কৃষিজমিতে যে সেচ  দেয়ার কথা, তাও প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে কৃষি উৎপাদন পরিবেশগত ও নৌযোগাযোগ ক্ষেত্রে। প্রকৃতি ক্রমে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। ফলে তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে পানির স্তরও নিম্নমুখী হচ্ছে। এর মধ্যে একাধিকবার ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আশ্বাস দেয়ার পরও এ চুক্তি কবে হতে পারে, তা বলতে পারছে না ভারত। আর এ জন্যই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে এটিই হয়ে উঠছে বড় ইস্যু।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভারত সফরের সময় ভারতীয় তরফ থেকে বলা হয়েছিল তিস্তার পানির বিনিময়ে ট্রানজিট। আর এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে ভারতের তরফে বলা হচ্ছে সামরিক চুক্তি আর তিস্তার পানি। খুব সুকৌশলে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়গুলোর অবতারণা করা হচ্ছে বারবার। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী কোনো ছাড় দেবেন না বলেই বিভিন্ন সূত্রের আভাস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে দ্ইু দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বললেও তিস্তা নিয়ে একদমই চুপ। সবাই সম্ভাবনার কথাই বলছেন। তিস্তা নিয়ে প্রবল আশাবাদের কথা  কেউই বলছেন না। অন্যদিকে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কোনোরকম চুক্তি না হবার সম্ভাবনার কথাই জোরালোভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।
যদিও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব  মো: শহীদুল হক ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ড. জয় শঙ্করের ঢাকা সফরকালে তার সাথে বৈঠক শেষে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তবে জয় শঙ্কর পানি নিয়ে ইতিবাচক কিছু শোনাননি। তিনি এ বিষয়ে ‘হ্যাঁ’-‘না’ কিছুই বলেননি। অন্যদিকে স্বয়ং পানিসম্পদ মন্ত্রীর কণ্ঠেই ঝরছে পরোক্ষ হতাশারই ইঙ্গিত : ‘পানি নিয়ে ভারতে এখন রাজনীতি হচ্ছে’।
পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ গত রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে স্পষ্ট করেই বলেন যে, পানি নিয়ে ভারতে এখন রাজনীতি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা নিয়ে কী হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দুই দেশের মধ্যে কথা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা বলা যাচ্ছে না।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই তিস্তার (পানি বণ্টন চুক্তি) বিষয়ে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে কাজ চলছে। তিস্তার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রেখে বাকিটুকু দুই দেশ ভাগ করে নেবে। তবে দুই দেশ কে কত শতাংশ পানি নেবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
এর আগে গত শুক্রবার কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ উদ্বোধনকালে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের আগে প্রতি বছর ৫২ হাজার কিউসেক পানি  পেতাম আমরা। এখন পাচ্ছি মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার কিউসেক পানি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আগামী এপ্রিলের ৭ তারিখে দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত যাচ্ছেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০১০-এর ১০ জানুয়ারি দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারতে যান তিনি। তখন দুই দেশের মধ্যে ৫০ দফা যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। এর ওপর ভিত্তি করে প্রায় ৮ বছর বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু বহু  আকাক্সিক্ষত তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যুটি বারবার ভেস্তে গেছে ভারতে চলমান নেতিবাচক পানি-রাজনীতির কারণে। এই রাজনীতির কথা সরাসরি এখন বলছেন বাংলাদেশের পানিমন্ত্রীও।   
অন্যদিকে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদনেই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পত্রিকাটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে আসছে এপ্রিলে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির জোর দাবি তোলা হবে। বিপরীতে ভারত চাইবে একটা বড় ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি। তবে দুইটি চুক্তির ব্যাপারেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নিজস্ব সূত্র এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্ভাব্য ওই চুক্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ ২০১৩-এর ১৮  ফেব্রæয়ারি ঢাকার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়ে সুরাহার অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে তিস্তা চুক্তি। বিষয়টিকে তিনি কম জটিল হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিস্তার বিষয়টি সুরাহা করতে পারব। কারণ এ নিয়ে জনগণের যে ভাবনা, সেটিকে গুরুত্ব দেয়ার দরকার আছে।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ জাতীয়  প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, গ্রহণযোগ্য তিস্তা চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় এসে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সৌজন্য সাক্ষাতে যত শিগগির তিস্তার পানি দুই দেশের ঐকমত্যভিত্তিক সমঝোতা চুক্তির আশাবাদ ‘জানান’ দেন। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাইও বাংলাদেশে এসে তিস্তার বিষয়ে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। ভারতের বাঙালি প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরে তিনিও প্রতিশ্রæতি দিয়ে যান যে, খুব দ্রæত তিস্তা চুক্তি হবে। বাস্তবতা হলো শুধু উচ্চ পর্যায়ের অনেকগুলো সফরই হলো কিন্তু তিস্তা চুক্তি হলো না।
ভারতের পক্ষে ভূ-রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর কারণে আজও তা কার্যকর হয়নি। ভারতের পক্ষ থেকে একেকবার একেকরকম কথা বলা হয়। আর বারবারই বলা হয়, হ্যাঁ অগ্রগতি হচ্ছে। আলোচনা চলছে। এভাবেই চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আকমল হুসেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে পানি ভাগাভাগির সমস্যাটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত অন্য যে কোনো সমস্যার চেয়ে এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  
আর এজন্যই ভারত সফরের সময় বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বেশ ঝাঁজালো সুরেই ভারতের প্রচারমাধ্যমকে বলেছিলেন তিস্তা চুক্তি না হলে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রবলভাবে ধাক্কা খাবে।
তিস্তা নদী বাংলাদেশের কাছে অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। বাংলাদেশ ও ভারতের ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর মধ্যে ৪৩টি অভিন্ন নদীর বেশিরভাগ পানি আটকে রাখে ভারত, যা প্রতিবেশী  দেশের পক্ষে কার্যত অবিচার। ২০১১ তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে অনেকটা এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত চুক্তি করতে পারেনি দুই দেশ। মমতার বিরোধিতায় তা বাতিল হয়ে যায়। ওই সমঝোতায় তিস্তা নদীর পানি ৫০:৫০ এ ভাগ করার কথা ছিল। ১৯৯৬ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত গঙ্গা পানি চুক্তিতেও একই বিষয়ের উল্লেখ ছিল। হিন্দুস্তান টাইমস-এর খবর অনুযায়ী, এখনও ওই মমতাই পথের কাঁটা হতে পারেন।
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তার বিষয়ে একটি পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। এ চুক্তি অবশ্যই হওয়া উচিত। ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালেই তিস্তা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বলে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার খুবই আশা করেছিল। তখন না হলেও জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী বারবার তিস্তা চুক্তির কথাই তুলে ধরেছেন।
এরপর নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হবার পর যখন ঢাকায় এলেন, তখন তিনিও ইঙ্গিতে বলেছিলেন, নীতিগতভাবে এ চুক্তি করতে তার কোনো বিরোধিতা নেই। তখন তিনি বলার চেষ্টা করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এ চুক্তির বিষয়ে সঙ্গে রাখতে হবে। আমরা  ভেবেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পর পরিবেশটা ইতিবাচক হবে। তিস্তার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে। এতদিন ধরে চুক্তিটি না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তা আমাদের জন্য অত্যন্ত চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আশা করব, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে, তার প্রতিফলন ঘটবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কঠোর হাতে দমন করার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘নো  টলারেন্স’ নীতি ও সিদ্ধান্ত ভারতেও সমাদৃত হয়েছে। আমরাও আশা করব, আমাদের প্রাণের দাবির বিষয়ে ভারত জোরালো উদ্যোগ নেবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক আব্দুল মোমেন চৌধুরী বলেন, পরপর দু’জন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এ কারণেই প্রটোকলের দিক থেকে দেখলে শেখ হাসিনার সফরটি ‘ডিউ’ হয়েছিল। এ সফরে বাংলাদেশের সকলেই চেয়ে আছে তিস্তার বিষয়ে কী হবে। এটাই প্রথম ও প্রধান বিষয়। এত বছর হয়ে গেল, তিস্তা ইস্যুটি ভারত সমাধা করতে পারেনি।
তিস্তা নদীর পানি ব্যবহার করে আমাদের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও আশপাশের উচ্চ ভূমি বিগত ৪ যুগ ধরে দেশের শস্যভাÐার হয়ে উঠেছিল। আশির দশকের শুরুতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ-এর সহায়তা ছাড়াই স্থানীয় প্রকৌশলীদের দ্বারা খুবই অল্প খরচে তিস্তা ব্যারাজ তৈরি ও চালু করে উত্তরাঞ্চলে কৃষিতে বিপ্লব আনেন। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসে।
উল্লেখ্য, তিস্তা নদীর পানি ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দেন-দরবার সেই ১৯৫২ সাল থেকেই হয়ে আসছে। ১৯৮৩ সালে উভয় দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে চুক্তি হয় যে, তিস্তা নদীর পানির ৩৬ শতাংশ বাংলাদেশ এবং ভারত পাবে ৩৯ শতাংশ। আর নদী প্রবাহের জন্য ২৫ শতাংশ পানি সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের ডোমার থেকে ১০০ কিলোমিটার উজানে গজলডোবায় বিরাট বাঁধ দিয়ে ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার শুরু করে। তারা আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে সমগ্র ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে মরুময়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • মিরানা আক্তার ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:৪৪ এএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা সমস্যার সমাধান করতেই হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:৪৫ এএম says : 0
    প্রয়োজনে আমাদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • এস, আনোয়ার ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০১ এএম says : 0
    দাদাদের বিরুদ্ধে জোড় দিয়ে কিছু বলতে গেলে সমস্যা আছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ