Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কাকরাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ইডেন কলেজ হোস্টেল ও মিরপুরে বাসা থেকে দুই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাকরাইলে গতকাল বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় সাজেদিস সালেহিন শুভ (১৯) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এছাড়া ইডেন মহিলা কলেজের হল থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস জীবন (২৩) নামে এক অনার্স পড়–য়া এবং মিরপুরের একটি বাসা থেকে কলেজ ভর্তিচ্ছু ছাত্রী সোনিয়া আক্তারের (১৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য লাশগুলো হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও মেডিকেল সূত্র জানায়, গতকাল বেলা দেড়টায় দিকে কাকরাইল মৎস্য ভবন সিগন্যাল থেকে রংধনু পরিবহনের একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করে ধানমন্ডির ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কুলের এ লেভেল পড়–য়া শিক্ষার্থী সাজেদিস সালেহিন শুভ। কিন্তু বেপরোয়া বাস চালকের কারণে সে গাড়িতে উঠতে গিয়ে পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রæত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুভ মারা যায়। দুর্ঘটনার পর পরই শাহবাগ থানার পুলিশ বাসসহ চালককে আটক করেছে। নিহত শুভর বাবার নাম শাহ আলম সরদার। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন খাড়ঘরে। ঢাকার খিলগাঁও থানাধীন দক্ষিণ গোড়ানের ২৩২ নম্বর বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করতো শুভ। শুভ নিহতের ঘটনায় তার পরিবারসহ সহপাঠিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে শুভ ছিলো দ্বিতীয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে গতকাল সকাল ১০টার দিকে ইডেন কলেজের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে আবাসিক ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জীবনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের সহপাঠিরা জানিয়েছেন, জীবন ইডেন মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের ২১০ নম্বর কক্ষে। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহŸায়ক পাপিয়া প্রিয়ার অনুসারী ছিলেন। হল সুপার ফেরদৌসী বেগম জানান, গতকাল সকাল ১০টায় রুমের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না বাঁধা অবস্থায় জীবনের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। নিহতের সহপাঠিরা জীবনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে  কর্মচারীদের জানায়। কর্মচারীরা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বললে তারা পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে লাশ নামায়। পুলিশ বলছে, এটা আত্মহত্যা, নাকি হত্যা তা নিশ্চিত হতে লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই কাওসার হোসেন লালবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে গতকাল দুপুরে মিরপুর থানাধীন পশ্চিম মনিপুরের টিনসেড ভাড়া বাসা থেকে সোনিয়া আক্তার নামে এক ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, বড় ভাই ওবায়দুলের বকুনি খেয়ে অভিমান করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়েছে সোনিয়া। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলা সদরের বড়চরগ্রাম। বাবার নাম আবদুল মজিদ। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে সে সোনিয়া দ্বিতীয়। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ