পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাগলনাইয়া উপজেলা সংবাদদাতা : ফেনীর ফুলগাজীর বদরপুর সীমান্তে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় নিহত আনসার সদস্য নওশের আলীর লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। গতকাল সন্ধ্যায় তারা বিজিবির হাতে লাশ হস্তান্তর করেন। এদিকে ম্যাজেস্ট্রেট সোহেল রানার নিখোঁজ সোর্স সুমনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বর্তমানে সে বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা করা হয়েছে। তাকে ভারতীয় আদালতের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় আনতে হবে বলে জানান বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফেনীস্থ ৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তা মেজর আশ্রাফ, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) ঊক্য সিং, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আবদুল আলিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিসিঞ্জার চাকমার সাথে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ) এর ভারতের ত্রীপুরার ৮৬ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রী সুরেন দাস, লেফটেন্যান্ট কর্নেল নরেশ মনোহর, কোম্পানি কমান্ডার সত্যপালের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিজিবির হাতে নিহত আনসার সদস্যের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বদরপুরের খাঁন বাড়ি এলাকায় মাদক আস্তানায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। পরে এ সময় কয়েক জন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। মাদক ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা চালায়। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১৪ রাউন্ড রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় নওশের আলী নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছে। নিখোঁজ হয় সুমন নামের এক সোর্স। একটি সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল থেকে নিহত নওশের আলীর লাশ ও সোর্স সুমনকে তুলে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। মাদক ব্যবসায়ীদের কোপে আহত হন ফেনী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা ও পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা ফেনী ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার হাত, বাহুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপ লাগে।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা: মো: নাজমুল জানান, আহত ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানার শরীরে ৩টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কা মুক্ত রয়েছেন। উল্লেখ্য খানাবাড়িটি ভারত সীমান্তে হওয়ায় বিজিবি ও পুলিশের অভযানকালে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা সেই বাড়িতে অবস্থান নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।