পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : রমজানে মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে টিসিবি’র খুলনার খালিশপুরস্থ গুদামে ৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি মজুদ করা হয়েছে। মজুদকৃত চিনি দেশীয় মিলে উৎপাদিত। শবে বরাতের পর পর ডিলারদের মাধ্যমে এ চিনি বিক্রি করা হবে। মূল্য নির্ধারণ চূড়ান্ত না হলেও প্রতি কেজি ৬০ টাকা দর নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। গেল বছর সরকারি এ সংস্থা ৫৫ টাকা দরে চিনি বিক্রি করেছিল। স্থানীয় বাজারে দেশী মিলে উৎপাদিত চিনির চাহিদা কম থাকায় দক্ষিণের বাজারগুলোতে সিটি কোম্পানির তীর মার্কা চিনির চাহিদা বেশি। বর্তমানে খুলনার বাজারে তীর চিনি প্রতিকেজি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অন্যান্য বছরে রমজানের সময় বাজারে চিনির মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে তিন মাস আগেই সরকারী সংস্থা চিনি মজুদ করছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ জেলার ৪৮০ জন ডিলারের মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংস্থার খুলনাস্থ কার্যালয়ে এবং ৫/৭টি ট্রাক সেলের মাধ্যমে চিনি বিক্রি করা হবে। ইতিমধ্যেই ডিলারদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এবারের রমজানে চিনির সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল মোর্শেদ জানান, রমজানে ভোক্তাদের হাতে সহনীয় মূল্যে চিনি পৌঁছে দেয়া হবে। চিনির গুণগত মান ভাল বলে তিনি উল্লেখ করেন। ডিলারদের চাহিদামত চিনি সরবরাহ করা হবে।
কালিবাড়ী রোড এলাকার চিনি ব্যবসায়ী চিত্ত রঞ্জন কুন্ডু জানান, গতকাল ৬৪ টাকা ধরে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে। দেশীয় চিনির চাহিদা কম। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে সিটি কোম্পানীর তীর নামক চিনির চাহিদা বেশি।
মিষ্টি বিক্রেতা মাতৃ মিষ্টি ভাÐারের সাধন চন্দ্র সাধু জানান, দেশীয় মিলে উৎপাদিত চিনির প্রতি ভোক্তাদের আগ্রহ নেই। ৫০ কেজির প্রতিবস্তা তিন হাজার ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় চিনিতে অনেক ক্ষেত্রে অপদ্রব্য পাওয়া যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, টিসিবি ২০০৯ সালের প্রতি কেজি ৩২-৩৩ টাকা দরে, ২০১০ সালে ৫০-৫২ টাকা দরে, ২০১১ সালের ৫৫-৫৬ টাকা দরে, গেল বছর ৫৫ টাকা দরে চিনি বিক্রি করে। ২০১৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রমজানে চিনির মূল্য নির্ধারণ করতে হিমশিম খায়। দু’দফা পরিবর্তন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।