Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হল ছাড়ার জন্য ছাত্রলীগ নেত্রীর চাঁদা দাবি

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৭, ১:০১ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : হল ছেড়ে যাওয়ার জন্য এক ছাত্রীর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেত্রী। অভিযুক্ত নেত্রী রনক জাহান রিনি ঢাবির বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী ছাত্রীর নাম নুসরাত আঁখি, তিনি বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। 

সূত্র জানায়, ওই ছাত্রী গত ৬ ফেব্রæয়ারি হলের ১১৯ নম্বর কক্ষে উঠে। তারপর সে গত একমাস হলে অবস্থানের পর গতকাল হল ছেড়ে চলে যেতে চাইলে হল সাধারণ সম্পাদক তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং তাকে জোরপূর্বক হলের প্রাধ্যক্ষা বরাবর এই মর্মে দরখাস্ত লিখতে বলে যে, বিগত দিনগুলোতে সে হলে অবস্থান করেছে এবং অত্র হলের নিয়মানুযায়ী এতদিন হলে অবস্থান করার দরুণ সে গেস্ট চার্জ দিতে অপারগ। দরখাস্ত না লিখলে তাকে হল ছেড়ে যেতে দেয়া হবে না বলেও নানা ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে অভিযুক্ত এই নেত্রী। পরবর্তীত এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের জানানোর কারণ জানতে চেয়েও তাকে নানা প্রকার হেনস্থা করা হয় এবং জোরপূর্বক একটি কাগজে তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা পাওনা ছিল এমন স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে হল সাধারণ সম্পাদক রনক জাহান বলেন, আমি তাকে প্রাধ্যক্ষা বরাবর একটি অ্যাপ্লিকেশন লিখতে বলেছি যে, সে এতদিন হলে ছিল এবং বর্তমানে সে হলে থাকতে চাচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে জোর করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই মেয়ে আমার কাছে এসে হল ছাড়ার কথা বললে আমি তাকে একটি অ্যাপ্লিকেশন লিখে তারপর হল ছাড়তে বলি। চাঁদার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এমন কোনো কিছু দাবি করিনি, সে যখন আমাকে টাকা দেবে তখন এ ব্যাপারে কথা বলবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, এমন কোনো প্রমাণ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো, প্রয়োজনে বরখাস্ত করব।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এস জাকির হোসেনকে এ ব্যাপারে জানার জন্য ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ভুক্তভোগী ছাত্রী নুসরাত আঁখি বলেন, আমি হল ছেড়ে যেতে চাইলে আপু আমাকে একটি দরখাস্ত লিখতে বলেন হলের প্রভোস্ট বরাবর এভাবে যে, আমি এতদিন হলে ছিলাম তাই হলের গেস্ট চার্জ হিসেবে যে টাকা এসেছে তা আমি দিতে পারব না, আমি তো ভাইয়া এগুলোর কিছু বুঝি না, তাই প্রথমে লিখতে না চাইলে তিনি আমাকে ধমক দিয়ে এটা লিখিয়ে নেন এবং আমার কাছ থেকে আমার পেয়িং সিøপের এককপি ফটোকপি ও একটি ছবি রাখেন তার কাছে। আর এর সাথে তিনি আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে বলেন তার কাছে। পরে ভাইয়ারা (বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকরা) তাকে ফোন দিলে তিনি আমার উপর রেগে যান এবং একথা কেন জানিয়েছি তা জানতে চান।



 

Show all comments
  • আনোয়ার ৯ মার্চ, ২০১৭, ৯:৫৮ এএম says : 0
    এরই নাম নারীর ক্ষমতায়ন। বানর বেশি প্রশ্রয় পেলে এক মাথায় বসে প্রশ্রাবও করে দেয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ