Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তাহের হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৭, ১:০০ এএম

কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর রামপুরার বাসিন্দা ও সাবেক কর কমিশনার আবু তাহের হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দুই নারীসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৪ নম্বর দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন, নাসির, রাসেল তালুকদার, রুস্তম, আমির হোসেন এবং সোহেল রানা। এ ছাড়া আসামি নুর আলম ও মাসুদ মিয়াকে ১০ বছর এবং সেলিনা ও নুরজাহান নামের দুই নারীকে দুই বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান লিখন সাংবাদিকদের জানান, এ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড ও চারজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। এ মামলার ৯ আসামির মধ্যে রুস্তম শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে। এছাড়া রায় ঘোষণার আগে অন্য ৮ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১ মার্চ স্ত্রীসহ আবু তাহের রামপুরায় তার নিজের বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই দিন দিবাগত রাত তিনটার দিকে আসামিরা গ্রিল কেটে বাসায় ঢোকেন। পরে তাহের ও তার স্ত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন এবং আলমারির চাবি নিয়ে স্বর্ণালংকার, মুঠোফোন ও নগদ অর্থ ডাকাতি করে পালিয়ে যান। তবে যাওয়ার সময় আসামিরা তাহেরের ডান হাতের কবজির রগ কেটে দেন। বাঁ পায়েও জখম করেন। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত তাহেরের ছেলে এ টি এম আরিফুল হক বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে সাতজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। জবানবন্দির তথ্য অনুসারে, আসামিরা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে, কখন এবং কি অছিলা নিয়ে ওই বাসায় ঢুকবে, কে ঘটনার সময় কোন দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ওই বাসায় ঢুকার জন্য লোহার রেঞ্জ, হাতুরিসহ লাল কালো কাপড়, ছুড়ি সংগ্রহ করে ঘটনাস্থলে যাওয়া, আগে থেকেই মেইন গেটের বিকল্প চাবি সংগ্রহ করা, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়া ইত্যাদি বিষয় রয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নাসির নিহত আবু তাহেরের গাড়িচালক ছিলেন। ওই বাসার গৃহকর্মী সেলিনা ও নুরজাহান এবং তাদের সহযোগী আসামি রুস্তম, আমির হোসেন, সোহেল রানা, নুর আলম ও মাসুদ মিয়া পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পনা করে তাহেরের বাসায় ডাকাতি করতে যান। পরে তাকে হত্যাও করেন আসামিরা। পরে ঘটনার তদন্ত করে গত বছরের ৬ জানুয়ারি ৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দখিল করে পুলিশ। মামলায় ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ