পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720373515](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দলীয় সরকারের অধীনে যে ৬টি নির্বাচন হয়েছে সেই ৬টি নির্বাচনের একটিও ভালো হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচন ভালো হবে কি না সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারছি বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
বাংলাদেশের ৪৭ বছরের ইতিহাস যদি পর্যালচনা করি তাহলে দেখা যায় যে, আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গত ৬ মার্চ চ্যানেল-২৪ এর ‘মুক্তবাক’ টকশোতে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমাদের বর্তমান যে বড় দু’টি প্রধান রাজনৈতিক দল রয়েছে তা অগণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। যাদের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৪৭ বছরে ১০টি নির্বাচনের মধ্যে ৬টি হয় দলীয় সরকারের অধীনে। এর মধ্যে ৪টি হয়েছে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে আর ৬টি হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে। যে ৬টির মধ্যে এখন পর্যন্ত একটাও ভালো নির্বাচন হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ওই নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের অধীনে ২টি হয়েছে, বিএনপির আধীনেও ২টি নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে এমনকি জাতীয় পার্টির অধীনেও ২টি করে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সে নির্বাচনগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় যে, কোনোভাবেই ভালো হয়নি।
শাহদীন মালিক আরো বলেন, ওই সময়গুলোতে আওয়ামী লীগ ’৮৮, ’৯৬ ও ২০০৭-এ ২২ জানুয়ারিসহ তিনবার তারা নির্বাচন বয়কট করেছে। বিএনপি বয়কট করেছে ’৮৬, ’৮৮ ও ২০১৪সহ ৩টি। এমতাবস্থায় মূল কথা হলো, দলীয় সরকারের অধীনে যে ৬টি নির্বাচন হয়েছে সেই ৬টি নির্বাচনের একটাও ভালো হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচন ভালো হবে কি না সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, ধরে নিলাম আমরা যে আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনেই ভালো হবে, কিন্তু আমার কথা বা প্রশ্ন হলো ভালো যে হবে তেমন কোনো কর্মকাÐ তো এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পারছি না বা সামনে যে এক বছর সময় আছে তার মধ্যেও যে পরিবর্তন ঘটবে তারও কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। শাহদীন মালিক আরো বলেন, আমাদের রাজনৈতিক আলোচনার ৫০ বছর হয়ে গেল তারপরও আমরা গণতন্ত্রের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না যে, নির্বাচন আমরা কেমন করে করব, নির্বাচন ভালো হবে কি না, নির্বাচন কি গণতান্ত্রিক? নির্বাচনে কি কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে?
এই আলোচনা থেকেই আমরা কাটিয়ে উঠতে পারছি না। সুতরাং আমাদের মনে হয় এটা রাজনৈতিক বড় ব্যর্থতা যেটা আমাদের জাতির জন্যও বড় ধরনের ব্যর্থতা। আমার মনে হয় আফ্রিকায় যাদের গণতন্ত্রের কোনো ইতিহাস-ঐতিহ্য নেই তাদের সাথে আমরা একাকার হয়ে গেছি। কারণ, আফ্রিকার প্রতিটা দেশের সরকারও সংবিধানের দোহাই দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করে না এমন কোনো নেতা আফ্রিকায় নেই। এমতাবস্থায় আমার কথা হলো, আমরা কেন ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না? যেখানে আমাদের পাশে ভারত-শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি দেশ বেরিয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।