Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় বিমানের ট্রাফিক হেলপার কারাগারে

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো : স্বর্ণ চোরাচালান মামলার আসামি বিমান বাংলাদেশের ট্রাফিক হেলপার কে এম নুরুদ্দিন গতকাল (বুধবার) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: শাহে নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৫টি স্বর্ণের বার আটকের ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি নুরুদ্দিন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর এলাকার কে এম আমীর আলীর ছেলে। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ২০১৩ সালে স্বর্ণ আটকের সময় তিনি শাহ আমানত বিমানবন্দরে কর্মরত ছিলেন। আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে এ মামলায় মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। ওই দিন মামলার অন্য ছয় আসামির সবার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। আগামী ১৩ মার্চ মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন  মোকশেদ, আনসারের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার ইলিয়াস উদ্দিন, আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান ও শাহিন মিয়া এবং দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিন চৌধুরী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর দুবাই  থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি বিমানে করে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন আলাউদ্দিন চৌধুরী।
ওই দিন লাগেজ হারিয়ে গেছে অভিযোগ করে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। পরদিন বিমানবন্দরের ‘হারানো ও প্রাপ্তি’ শাখায় আলাউদ্দিনকে নিয়ে হাজির হন সে সময়ের ব্যবস্থাপকের পিএ  মোমেন মোকশেদ।
আলাউদ্দিনের লাগেজটি নিয়মবর্হিভূতভাবে ছাড় করাতে চাইলে স্ক্যানিং করে তাতে ২৫টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন মোমেন মোকশেদ ও আলাউদ্দিন। তখন পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘোষণা দেন কাস্টমস সংশিষ্ট কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নগরীর পতেঙ্গা থানায় স্বর্ণ  চোরাচালানের অভিযোগে মামলা করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ