পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উদ্দেশ্য উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ এবং বিদেশ থেকে পরিচালিত আপত্তিকর কনটেন্ট বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ
স্টাফ রিপোর্টার : উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ এবং বিদেশ থেকে পরিচালিত আপত্তিকর কনটেন্টের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চলতি মাসেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ : সাইবার অপরাধ, নিরাপদ ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালা উদ্বোধন অনুষ্ঠান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ কথা বলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক ও গুগলের সাথে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। ফেইসবুক তাদের কথামতো কাজ করছে। আপত্তি উত্থাপনের পরই ফেসবুক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া দিচ্ছে। উস্কানিমূলক, জঙ্গিবাদ ছড়ায়Ñ এ ধরনের পেজ তারা বন্ধ করেছেন। আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি। ফেসবুকের অনুবাদকও রয়েছে, তাদের বুঝতে হবে কনটেন্টটা কী। তবে জঙ্গিবাদ ছড়ানো ফেসবুক আইডিগুলোর অনেকগুলো ‘ফেইক’ (ভুয়া) থাকায় এর পেছনের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারানা হালিম।
তিনি বলেন, সমস্যা হলোÑ যেগুলো ইউআরএল পাঠাতে হয় ওখানে, অনেকগুলো থাকে ফেইক (ভুয়া), তখন ওই ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছেন না। আইনের প্রয়োগ তখনই হবে, যখন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারব। এসব সমস্যা সমাধান করতে আলোচনার জন্য মার্চে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যাগুলো উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ছড়ায় যে পেজগুলো বা বিদেশ থেকে যেগুলো পরিচালিত হয়, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা যেন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারি।
সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিজস্ব নীতিমালায় পরিচালিত হয়। সেখানে একটি অংশ থাকে যে, সেই নীতিমালাগুলো যেন কোনো রাষ্ট্রের আইনবিরোধী না হয়। এর যথাযথ বাস্তবায়ন হলে প্রত্যেক দেশের সুবিধা হয়। এর কারণ হিসেবে তারানা হালিম বলেন, আমাদের নিজস্ব কিছু সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রয়েছে, কিছু স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে। আমরা একটি অসা¤প্রদায়িক দেশ, কাজেই এই বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রেখে তাদের (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হয়। সামাজিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ, সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে নীতিমালা প্রণয়ণ করতে হবে এবং নীতিমালার জন্য প্রত্যেক দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন তদারকি সেল থাকা উচিত বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
সাইবার নিরাপত্তায় আরো বিনিয়োগ করা উচিত মন্তব্য করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল অগ্রগতির সাথে সাইবার নিরাপত্তায় প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে, সকল প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগ করলে সরকারই লাভবান হবে।
সাইবার নিরাপত্তায় গোটা বিশ্বে প্রতিবছর ৪০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে জানিয়ে তারানা বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ডিজিটালের ছোঁয়া পেয়েছি, এবং এটি এখন বাস্তবতা। পুরো বিশ্বকে এক ছাতার নিচে এসে সাইবার ক্রাইমের মোকাবেলা করতে হবে।
কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) উদ্যোগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির সহযোগিতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা উদ্বোধন করেন। সিটিও মহাসচিব শোলা টেইলর কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান । দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মোবাইল ফোন ও টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের প্রতিনিধি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসির কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।