পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি উইলিয়াম ই টড গত রবিবার ঢাকা সফর করেছেন। তিনি ঐদিন সকালে ঢাকায় আসেন এবং রাতেই ফিরে যান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকার সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই তার এ ঝটিকা সফর।
জানা গেছে, উইলিয়াম ই টড ঢাকা সফরকালে দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা, বেক্সিমকো গ্রæপের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকটি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের বাসায় অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে সালমান এফ রহমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে মার্কিন বিনিয়োগের আহŸান জানানো হয়। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। সেই সাথে বাংলাদেশী রফতানিকারকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধাসহ বিভিন্ন শুল্ক বাধা দূর করার বিষয়েও আলোচনা হয়। এরপর টড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়-এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল) মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের পর কোনো পক্ষই এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। এছাড়াও উইলিয়াম টড প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর বাইরেও টড বিভিন্ন গুরুত্ব¡পূর্ণ বেশ কিছু বৈঠক করেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
রবিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে বৈঠকে উইলিয়াম টড ঢাকার সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ঢাকার এসব বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে নিরাপত্তা তথা সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ইস্যু। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উইলিয়াম টডের বৈঠকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি গুরুত্ব পায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় উইলিয়াম টডকে অবহিত করা হয়। টড সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। সন্ত্রাস দমনে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে আরও সহায়তার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।