Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাধবদী শিল্প এলাকায় অর্ধশতাধিক ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের অসম প্রতিযোগিতা

১৫ হাজার কোটি টাকার কাপড়ের বাজারকে ঘিরে

| প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম



সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : কমবেশী ১৫ হাজার কোটি টাকার কাপড় ও সুতার বাজারকে ভিত্তি করে প্রাচ্যের মানচেস্টার খ্যাত মাধবদী বাবুরহাটে চলছে অর্ধশতাধিক ব্যাংক, এনজিও ও লগ্নি প্রতিষ্ঠানের অসম ও অসঙ্গত প্রতিযোগিতা।
একচেটিয়া বাজার দখলের প্রতিযোগিতায় বাড়তি সুবিধা দিয়ে এক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আরেক ব্যাংকের গ্রাহক ভাগিয়ে নিচ্ছে। গ্রাহক ভাগাতে ও বাড়াতে গিয়ে সুদের হার কমিয়ে দিয়ে অবাধে ঋণসীমা বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর এতে অসম প্রতিযোগিতা ক্রমান্বয়ে একটি আগ্রাসী প্রতিযোগিতায় পরিণত হচ্ছে। তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ব্যাংক ও লগ্নি প্রতিষ্ঠানগুলো শিল্প মালিকদের জামানতের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আর এই সুযোগে-সুবিধাবাদী শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীরা ভুয়া দলিলপত্র বা একই দলিল একাধিক ব্যাংকে দিয়ে ঋণ গ্রহণের সুযোগ নিচ্ছে। মালিকরা এক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করেই অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। এক খাতে ঋণ নিয়ে সে ঋণের টাকা ব্যবহার করছে ভিন্ন খাতে। যার ফলে, অবাধ ঋণ প্রাপ্তি ও ফান্ড ডাইভারশনের এই কু-প্রবণতা দেশের একটি স্বনামধন্য অর্থনৈতিক জোন মাধবদীর শিল্প অর্থনীতিতে শেয়ার বাজারের মত বড় ধরনের ধসের আশঙ্কা করছে স্থানীয় অর্থনীতিবিদরা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, আড়াই সহস্রাধিক শিল্প-কারখানার ৭০ হাজার পাওয়ারলুম ও কয়েকটি স্পিনিং মিলের কয়েক লাখ স্প্যান্ডেলের বিপরীতে অন্ততঃ ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ ছড়ানো হয়েছে মাধবদীর শিল্প কারখানা ও ব্যবসা খাতে। এসব ঋণের ৮০ ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ ঋণে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ ঋণই গচ্ছিত জামানতের মূল্যের সীমা কয়েকগুণ ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৪ শত কোটি টাকা ঋণ খেলাপী হয়ে গেছে। অপর একটি সরকারী ব্যাংকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপীর জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ইসলামী ব্যাংক ও আল-আরাফা ব্যাংকের রয়েছে কোটি কোটি টাকা খেলাপী ঋণ। এছাড়া মাধবদীর একজন শিল্পপতিকে একটি সরকারী ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার সমপরিমাণ কোন জামানত শিল্পপতির আছে বলে জানা যায়নি। বেসরকারী হিসেব মতে এ শিল্পপতির সমস্ত সম্পদ বিক্রি করলেও সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা হবে না বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এমন অবস্থা রয়েছে বহুসংখ্যক শিল্প কারখানায়। যাদের ঋণ রয়েছে কোটি কোটি টাকা। পক্ষান্তরে সম্পদের পরিমাণ অনেক কম।
কিছুদিন পূর্বে এ শিল্পপতি শ্রমিকদের বেতন দিতে পারেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে গজ প্রতি ২ টাকা লোকসান দিয়ে কাপড় বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য হয় এই শিল্পপতি। এমন অবস্থা বিরাজ করছে বেশিরভাগ শিল্প কারখানায়। কিছুদিন পূর্বে বেতন দিতে না পারায় ভগীরথপুর এলাকায় একটি শিল্প কারখানার শ্রমিকরা বেতন-ভাতার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। একটি সরকারী ব্যাংক মাধবদী শাখায় ২২ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপীর জন্য ২২টি সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেছে। একেইভাবে প্রায় প্রতিটি ব্যাংকই দায়ের করেছে বহুসংখ্যক সার্টিফিকেট মামলা। প্রায় প্রতিটি ব্যাংক ও লগ্নি প্রতিষ্ঠানের জামানতের সম্পদের চেয়ে এসব ঋণের পরিমাণ বেশী থাকায় এসব ঋণের টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহুসংখ্যক শিল্প কারখানা ঋণগ্রস্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে।
মাধবদীর একজন ব্যাংক ম্যানেজার খেদ প্রকাশ করে বলেছেন, মাধবদী শিল্প এলাকায় যেভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ হিসেবে ছড়ানো হয়েছে, মাধবদীর মাটি খুঁড়েও সে টাকা উদ্ধার করা যাবে না। কিভাবে ব্যবসায়ীরা এ ঋণ পরিশোধ করবে তা ভাবলে মাথা গরম হয়ে যায়।
চন্দন কুমার সাহা নামে একজন গ্রাহক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক থেকে পৌনে ২ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ছিল। বর্তমানে এ ব্যাংক ছেড়ে সে বেশী সুবিধা পেয়ে ইসলামী ব্যাংকে চলে গেছে। একই ব্যাংক থেকে বহুসংখ্যক গ্রাহক অন্য ব্যাংক ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। ব্যাংকের ম্যানেজার ও কর্মকর্তারা গ্রাহক ভাগাতে গিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান উপহার। এসব উপহারের মধ্যে রয়েছে শিল্প মালিকের স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধূদের জন্য সোনার গহনা। মূল্যবান কাপড়-চোপড়, ডায়মন্ড রিংসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী। শুধু তাই নয়Ñ বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করার জন্যও ব্যাংকগুলো উপহার সামগ্রী নিয়ে বাড়ী বাড়ী হাজির হচ্ছে।
মাধবদী বাবুরহাট সুদূর অতীতকাল থেকেই ছিল কাপড়ের জন্য বিখ্যাত। এখানকার হস্তচালিত তাঁতের কাপড় সারা বাংলাদেশ ছাপিয়ে সুদূর ইউরোপ পর্যন্ত রফতানি হতো। আর তখন থেকেই কাপড়ের বাজার হিসেবে মাধবদী বাবুরহাট প্রাচ্যের মানচেষ্টার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবার পর রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কারণে মাধবদী বাবুরহাটে শিল্প কারখানার বিকাশ ব্যাহত হয়। কো-অপারেটিভের মাধ্যমে সুতা বণ্টন নিয়ে ব্যাপক কেলেংকারীর ঘটনা ঘটে। অ-তাঁতীদের হাতে চলে যায় তাঁত সমিতিগুলো। যার ফলে, সেখানকার তাঁত শিল্প অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়ে। ৮০’র দশকের পর থেকে মিশ্র অর্থনীতির আওতায় মাধবদীতে তাঁত শিল্প আবার সজীব হয়ে উঠতে শুরু করে। ৯০ দশকের পর থেকে মাধবদী শিল্প এলাকা গড়ে উঠতে শুরু করে পাওয়ারলুম। দেশে তৈরী পাওয়ারলুম দিয়ে শুরু হয় সেখানকার যাত্রা। ক্রমান্বয়ে তা মাধবদী শহর, নুরালাপুর, কাঠালিয়া, মহিষাশুরা, পাইকারচর, শীলমান্দী, মেহেরপাড়া, আমদিয়া, পাঁচদোনা ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে বিস্তৃতি লাভ করে। বিস্তৃতি লাভ করে আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ উপজেলার নিকটবর্তী এলাকাগুলোতেও। বেসরকারী হিসেব মতে শত শত পাওয়ারলুম, সাইজিং, স্পিনিং, টেক্সটাইল, ডাইং ও প্রিন্টিং, গার্মেন্টস ইত্যাদিসহ বিভিন্ন কারখানা মিলিয়ে কমবেশী আড়াই হাজার শিল্প কারখানা গড়ে উঠে এসব এলাকাসমূহে। আর এসব কারখানাসমূহের আর্থিকভিত্তি হচ্ছে সরকারী-বেসরকারী অর্ধশতাধিক ব্যাংক, এনজিও ও বিভিন্ন লগ্নি প্রতিষ্ঠান। এসব এলাকাসমূহের কৃষক পরিবারগুলো এখন শিল্প কারখানার মালিক হয়ে গেছে। কৃষি জমিগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে হাজার হাজার পাওয়ারলুমসহ পাওয়ারলুম সহায়ক শিল্প কারখানা। এসব এলাকাসমূহে এখন কৃষি জমি দেখা যায় না।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, মাধবদী শিল্প এলাকায় প্রথম অবাধে শিল্প ঋণ বিতরণ করে ডাচবাংলা ব্যাংক। এরপর সরকারী ব্যাংকসমূহ। বেসরকারী ব্যাংকসমূহের মধ্যে রয়েছে ইউসিবিএল, ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ইত্যাদি। এনজিও’র মধ্যে রয়েছে আশা, ব্র্যাক, পিদিম, ব্যুরোসহ কমবেশী ২০টি এনজিও। অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, মাইডাস ফাইনান্স ও লংকা বাংলা ইত্যাদি। এসব ব্যাংক, এনজিও ও লগ্নি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এক ধরনের আগ্রাসী প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। গ্রাহক ভাগিয়ে নেয়ার জন্য সুদ কমিয়ে ঋণসীমা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোন কোন ব্যাংক সুদ নিচ্ছে ১০ থেকে ১১ ভাগ। আবার কোন কোন ব্যাংক সুদ নিচ্ছে ৯ থেকে সাড়ে ৯ ভাগ। সুদ নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধরাবাধা কোন নিয়ম না থাকায় ব্যাংকগুলো ইচ্ছে মাফিক সুদের হার কমাচ্ছে, বাড়াচ্ছে। এই সুযোগ নিয়ে ঋণের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছে ছোট বড় ও মাঝারী ধরনের শিল্প কারখানার মালিকরা। কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তারা ভিন্নখাতে ব্যবহার করছে। অনেক শিল্পপতি বাড়ী, গাড়ী তৈরী করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করছে না। কেউ ঋণ খেলাপী আবার কেউ কিস্তি খেলাপী থেকেই যাচ্ছে। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে মাধবদী শিল্প এলাকা। ঋণ গ্রহণকারী শিল্প মালিকদেরকে সুযোগ দিয়ে এক শ্রেণীর ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মকর্তারা ফাঁক বুঝে নিজেদের আখের ঘুচাচ্ছে। দৃশ্যত:ই অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত বিলাসবহুল জীবন ব্যবস্থা চোখে পড়ার মত। অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা গাড়ী হাঁকিয়ে ব্যাংকে আসছে। আবার গাড়ী হাঁকিয়ে বাড়ী ফিরছে। জানা গেছে, এসব গাড়ীগুলো উপহার দিয়েছে এক শ্রেণীর সুবিধাভোগী শিল্পপতি। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকার কোনোই নিরাপত্তা নেই। ব্যাংক ও লগ্নি প্রতিষ্ঠানসমূহের এই অসম ও আগ্রাসী প্রতিযোগিতা দেখে মাধবদী শিল্প এলাকায় শেয়ার বাজারের ধসের মত বড় ধরনের ধসের আশঙ্কা করছে সচেতন অর্থনীতিবিদগণ। আর এর কারণ হচ্ছে মাধবদী শিল্প এলাকায় শিল্প উদ্যোগীদের একমুখী প্রবণতা, গ্যাস সংকট, বিদ্যুৎ সংকট, ইটিপি স্থাপনে সরকারী সহায়তার অভাব, পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রাপ্তিতে জটিলতা, অবকাঠামোগত অপর্যাপ্ততা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সর্বোপরি উৎপাদিত কাপড়, সুতা ও পণ্য দ্রব্যের সুষ্ঠু বিপণন বা বাজার ব্যবস্থার অভাব মাধবদী শিল্প অর্থনীতির ভীত নড়বড়ে করেছে। মাধবদীর শিল্প এলাকা পরিপূর্ণভাবেই বিদেশ নির্ভর ছিল। ভারতীয় সুতা ছাড়া সেখানকার শিল্প কারখানাগুলো অচল হয়ে পড়তো।
গত দুই তিন দশকে মাধবদী শিল্প এলাকা ও এর আশপাশে ১০/১১টি স্পিনিং মিল গড়ে উঠেছে। এসব স্পিনিং মিলগুলোতে উৎপাদিত সুতা এখন মাধবদী শিল্প এলাকার প্রধান কাঁচামাল। স্পিনিং মিলের মালিকরা যখন তখন ইচ্ছেমত তাদের সুতার দাম বাড়াচ্ছে। পাওয়ারলুম মালিকরা বাধ্য হয়েই চড়া দামে সুতা কিনছে। এতে কাপড়ের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে বাজারে কাপড়ের দাম বাড়ছে না। ৫ বছর পূর্বেও পাওয়ারলুমের কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা ছিল। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাধবদীর পাওয়ারলুমের কাপড় রফতানি হতো। এখানকার কাপড় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলেও রফতানি হতো। এখন আর ভারতে কাপড় রফতানি হয় না। পাওয়ারলুমের ব্যাপক আধিক্যার কারণে উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে তফাৎ সৃষ্টি হয়ে গেছে। যার কারণে অনেক পাওয়ারলুম ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে গেছে। আরও ছোট আকারের বহুসংখ্যক পাওয়ারলুম বন্ধ হবার পথে। মাঝারী ও বড় আকারের ফ্যাক্টরীগুলো লোকসান দিয়েও কোন রকমে টিকে রয়েছে। এ অবস্থায় বিজেএমইএ ও চেম্বার অব কমার্স কর্তৃপক্ষ এসব ক্ষেত্রগুলোতে কোন সমন্বয় সাধন করছে না। মাধবদী শিল্প এলাকা একটি সমৃদ্ধ শিল্প এলাকা বা অর্থনৈতিক জোন হলেও এখানে স্থিতিশীলতার প্রকট অভাব রয়েছে। বিগত কয়েক দশকেও একমুখী প্রবণতার কারণে মাধবদী শিল্প এলাকায় দেশীয় কাঁচামাল নির্ভর কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান বা এগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠছে না। ব্যাংক ও লগ্নি প্রতিষ্ঠানগুলো শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহী করছে না। যার ফলে মাধবদী শিল্প এলাকায় এক ধরনের বন্ধাত্বের সৃষ্টি হয়েছে। এই বন্ধাত্ব দূরীভূত করতে না পারলে মাধবদী শিল্প এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ