Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডোমারে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বোরো ফসল ঝুঁকির মুখে

| প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ডোমার (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : ডোমারে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বোরো ফসল ঝুঁকির মধ্যে। ডোমার উপজেলার সিংহভাগ কৃষক ফসল উৎপাদন করে জীবন-জীবিকা চালায়। উৎপাদিত ফসল নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি ফসল বিক্রি করে দেশের খাদ্য চাহিদায় যোগান্তকারী ভূমিকা রেখে আসছে যুগ যুগ ধরে। যে কারণে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চালের চাহিদা দেশ জুড়েই সুনাম রয়েছে। অত্র উপজেলার সুস্বাদু চালের চাহিদা ব্যাপক। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো উপজেলার বোরো ফসল চাষাবাদ হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার একটু বেশি বোরো ফসল চাষাবাদ করেছে প্রান্তিক কৃষক। কারণ ধানের বাজার ভাল থাকায় কৃষকরা বোরো ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে বোরো আবাদ। আর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার খেলায় সেচ সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। প্রয়োজন অনুসারে পানি সেচ দিতে না পারায় বোরো ক্ষেত শুকিয়ে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অপরদিকে ডোমার উপজেলার বোরো চাষীদের কাছ থেকে গভীর নলকূপের মালিকরা তাদের ইচ্ছামত সেচের টাকা আদায় করছে। কৃষকরা টাকা দিতে ব্যর্থ হলে সেচ সংকটে ফেলে দেয় কৃষকদের। প্রতি একর জমিতে সেচ খরচ বাবদ ৩ হাজার থেকে শুরু ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হয় বোরো চাষীদের। একদিকে যেমন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে অপরদিকে গভীর নলকূপ মালিকদের সেচের টাকার চাপে পড়েছে। এতে কৃষকরা বোরো চাষে উভয় সংকটে পড়ে হিমশিম খাচ্ছে।
উল্লেখ্য, মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘসময় ধরে পল্লী বিদ্যুৎ ও পিডিপির লোডশেডিং থাকছে। এক-দুই ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসলেও কিছুক্ষণ পর আবার চলে যাচ্ছে। দিন-রাতে মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিললেও আবার কোন কোন সময় এর চেয়ে কম সময় বিদ্যুৎ থাকায় বোরো রোপণের জমিতে চাহিদা অনুয়ায়ী সঠিকভাবে পানিসেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ভুক্তভোগী কৃষকদের মতে, বিদ্যুতের ওই সমস্যার সমাধান না হলে বোরো আবাদে তারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। ডোমার বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী এজেডএম সাইফুল ইসলাম মÐল জানান, পিডিবির আওতায় ২৭০০ শত সেচ পাম্প ও ডিপ ৩০ রয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা ১২ মেগাওয়াট আর আমরা পাচ্ছি ৮ মেগাওয়াট। অপরদিকে ডোমার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম নুরুজ্জামান জানান, আমাদের আওতায় ৬০০০ সেচ পাম্প গ্রাহক ও ৬১টি ডিপ রয়েছে। ্আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট আর আমরা পেয়ে থাকি ১৪ মেগাওয়াট। উপজেলা কৃষি অফিসার মো: জাফর ইকবাল জানান এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হয়। লোডশেডিং থাকলেও বোরো আবাদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। এছাড়া চাহিদা ৩৬ মেগাওয়াট থাকলেও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ২২ মেগাওয়াট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ