Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত, আহত ৫

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভোলা জেলা সংবাদদাতা : ভোলা সদরে ঘূর্ণিঝড়ে দুটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। রোববার ৫ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কালাসুরা ও দরিরাম শংকর গ্রামে ঝড়ে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝড়ে ক্ষতি পরিবারগুলোর বেশিরভাগ দরিদ্র পরিবারের। তারা আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে।
ধনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির জানান, বিকালের দিকে প্রচন্ড বাতাসের সাথে হঠাৎ করেই ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। এতে মুহূর্তেই দুটি গ্রামের শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়। তবে এটি টর্নেডো হতে পারে।
স্থানীয় নাছির মাঝি এলাকার বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক মহিউদ্দিন জানার, ঝড়ে একটি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃধা মুজাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ডা. মহিউদ্দিনের দোকান, খায়ের, আনিস, ইউসুফ, নুরু মাঝি মোর্শেদ, হোসেন, সাইফুল, সবুজ, সুফিয়ান, মান্নান ও নবীর নাম পাওয়া গেছে। এছাড়াও একটি ব্র্যাক স্কুল ও একটি কওমি মাদ্রাসা বিধ্বস্ত হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলে কৃষকের জন্য স্বস্তি
বরিশাল ব্যুরো :  মওশুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে গতকাল বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবনে যথেষ্ট স্বস্তি নেমে  এলেও মাত্র ৫০ কিলোমিটার বেগের দমকা হাওয়ায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেকটাই লন্ডভন্ড হয়ে যায়। গতকাল দুপুর ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বরিশাল অঞ্চলে প্রায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ভোলাতে ৫১ মিলিমিটার। পটুয়াখালী ও সন্নিহিত এলাকায়ও কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।  বহু কাক্সিক্ষত এ বর্ষণ কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ভরা রবি মওশুমে এ বৃষ্টি ছিল অতি প্রয়োজনীয়। মাঠে থাকা বোরো ধানসহ গম, মুগ ডাল ও তরমুজসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির জন্য এ বৃষ্টি অনেকটাই আশীর্বাদ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা। গত তিনমাস ধরেই সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে যথেষ্ট কম বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষি-সেচ ব্যবস্থা যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে ছিল। এ বর্ষণ আম-কাঁঠালসহ বিভিন্ন ধরনের মওশুমি ফলের উৎপাদনকেও যথেষ্ট টেকসই করবে।
কিন্তু গতকাল দুপুরের পরে বহু কাক্সিক্ষত এ বৃষ্টির সাথে দমকার আকারে অস্থায়ীভাবে মাত্র ৫০ কিলোমিটার বেগের বাতাসের তোড়ে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সঞ্চালন, সরবারহ ও বিতরণ ব্যবস্থাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। খোদ বরিশাল মহানগরীতে রূপাতলী মূল সাব-স্টেশন থেকে কাশিপুর সাব-স্টেশন পর্যন্ত ৩৩ কেভী সঞ্চালন লাইনটিতে গোলযোগের কারণে নগরীর প্রায় ৩৫ভাগ এলাকায় টানা ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহানগরীসহ সন্নিহিত অনেক এলাকাতেই বিদ্যুৎ সরবারহ পুনর্বাসন করা সম্ভব হয়নি। মওশুমের শুরুতেই সামান্য দমকা ঝড়ো হাওয়া দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের নড়বড়ে পরিস্থিতির জানান দিচ্ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহাল মহল।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয় পাদদেশীয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মওশুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বরিশালসহ দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং মধ্যাঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পটুয়াখালীতে ৩২.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস । বরিশালে তা ছিল ৩০ ডিগ্রীর ওপরে। তবে আজ ও আগামীকাল দিনের তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।




 

Show all comments
  • Roni ৬ মার্চ, ২০১৭, ২:৫৫ এএম says : 0
    brittobander uchit ader pase darano
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ