Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাসক দলের অস্ত্রবাজিতে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে : রিজভী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা, হুমকি-ধমকি ও অস্ত্রবাজীতে ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।  গতকাল রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন। আজ সোমবার দেশের যেসব উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রিজভী বলেন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদেরকে জীবননাশের হুমকিসহ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে বেপরোয়া হামলা চালানো হচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপক বাধা এবং বিএনপি প্রার্থী ও সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বাসভবন রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। নিজ এলাকায় যেখানে নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে সিইসি ব্যর্থ সেখানে কীভাবে সারাদেশের নির্বাচন তিনি বা তার কমিশন কন্ট্রোল করবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির এ  নেতা বলেন, মোট কথা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা ও মদদে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের নিকট প্রতিকারের আবেদন জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তথাপি সিইসি কর্তৃক কোন কার্যকর উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না, তিনি এখন লা-জবাব।
রিজভী বলেন, স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে গোটা নির্বাচনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট না হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের নির্দেশে উপজেলার সকল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানরা এ ধরনের অপকর্ম সংঘটন করছে। নির্বাচনী এলাকাটি এখন এক আতঙ্কিত জনপদ।
রিজভী আহম্মেদ বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাটাই ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচনকে দেশান্তরিত করে তার পূর্বের পছন্দসই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দিনের মতো আরেকজন অনুগত ও দলীয় আশীর্বাদপুষ্ট লোককে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, হাসিনা মার্কা নির্বাচন মানেই একতরফা নির্বাচন, রক্তাক্ত নির্বাচন, একদলীয় নির্বাচন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে চিরদিন ক্ষমতায় রাখার জন্য ভোটারবিহীন নির্বাচন। সুতরাং আতঙ্ক, ভয় এবং ভীতিকর পরিবেশ বজায় রাখতে হলে শাসকদলের সহিংস সন্ত্রাস জরুরী। তাই এই সহিংস সন্ত্রাস আশকারা পাচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততার কারণে। অতএব, এই আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার দিয়ে শাসকদলের প্রভাবমুক্ত, অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
এতকিছুর পরও বিএনপি এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কেনো নির্বাচনে যাচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সেই গণতন্ত্রকে পথকে স¤প্রসারিত করতেই আমরা স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মো. মুনির হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ