পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের (২৬ মার্চ) অনুষ্ঠানে স্বাধীনতাবিরোধীদের অতিথি করা যাবে না।
গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন’ উপলক্ষে নিরাপত্তাবিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কোনো অবস্থাতেই বিতর্কিত ও স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তিকে অতিথি করা যাবে না। অতিথি হিসেবে কোনো অনুষ্ঠানেই তারা যেতে পারবে না।
স্বাধীনতাবিরোধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো তালিকা নেই। তবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা জানেন কারা স্বাধীনতাবিরোধী, কারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। কাজেই বিষয়টি সেভাবেই অনুসরণ করা হবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আগেও এই রাস্তায় আমরা কাউকে তোরণ করতে দেইনি। এবারও কাউকে তোরণ করতে দেয়া হবে না। আগের মতো তোরণ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, স্বাধীনতা দিবস ছাড়াও শুক্রবার ও শনিবারসহ তিনদিনের ছুটিতে পর্যটক স্থানগুলোতে যথেষ্ট ভিড় হবে। এসব জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে।
তিনদিন ছুটিতে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি নেই। তারপরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তত। তৎপর রয়েছে গোয়েন্দা বাহিনী। আশা করছি, কঠোর নিরাপত্তায় দেশবাসী দিবসটি উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করবে।
স্বাধীনতা দিবসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব ধরনের নাশকতা এড়াতে জাতীয় দিবস পালনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে। সাভার স্মৃতিসৌধ ও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে থাকবে। প্রতি বছর স্মৃতিসৌধ এলাকায় যে ধরনের নিরাপত্তা নেয়া হয় এবারও ব্যতিক্রম হবে না। নিরাপত্তার জন্য আগের মতো সিকিউরিটি গেট, সিসিটিভি, আর্চওয়ে, কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হবে।
নৌপথে নিরাপত্তা দেবে নৌপুলিশ। পর্যাপ্ত নৌ-পুলিশের টহল থাকবে। তাছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ স্থলেও নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবেÑ বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পদাতিক ডিভিশন সাভার স্মৃতিসৌধে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ স্বাধীনতা দিবসে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে। স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের বিপুলসংখ্যক কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হবে। তাছাড়া বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাধীনতা দিবস পালনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
নিরাপত্তার স্বার্থে এবারও ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় কেউ তোরণ করতে পারবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতীয় পতাকা ব্যবহার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পতাকা যত্রতত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়, এতে জাতীয় পতাকার মর্যাদা ক্ষুণœ হয়। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পতাকার সাইজ এবং পতাকা কতটুকু সময় উড়ানো যাবে, কীভাবে পতাকা উড়বেÑ সবকিছু তারা ঠিক করে দেবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।