পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার অফিস : হেফাজতের আন্দোলন কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সরকারের বিপক্ষে নয়। কাউকে ক্ষমতায় বসানো অথবা ক্ষমতাচ্ছুত করা হেফাজতের কাজ নয়। আমাদের আন্দোলন ইসলামবিদ্বেষী শক্তির বিরুদ্ধে। যেখানে খোদাদ্রোহী শক্তির অবস্থান সেখানেই হেফাজতের প্রতিরোধ। রোববার (৫ মার্চ) কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে শানে রেসালত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে থেকে মূর্তি সরাতে হবে। অন্যথায় তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলা হবে। বাবুনগরী আরো বলেন, মহানবী (স.) শিরকি-কুফরি, পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করে মানুষকে তাওহীদ, রেসালত ও ঈমানের শিক্ষা দিয়েছেন। নবীজীর সেই শিক্ষা থেকে মুসলিম জাতিকে বিচ্যুত করার জন্য নাস্তিক্যবাদী ও পৌত্তলিকবাদী অপশক্তি বহুমুখী চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, মূর্তি স্থাপনকারীরা আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। দেশকে আল্লাহর গজব থেকে বাঁচাবার জন্য বিচারালয় প্রাঙ্গণ থেকে এই মূর্তি সরানোর আন্দোলন জোরদার করার জন্য দেশের ঈমনদার মুসলমানদের প্রতি আহŸান জানান। আল্লামা বাবুনগরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীর যাবজ্জীবন দÐের বিধান রয়েছে। কিন্তু নবী (সা.)-এর অবমাননাকারীর শাস্তি মাত্র ২ বছর। এই আইন সরাসরি নবী (সা.) এর শানে চরম অবমাননা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন মুসলমান। মুসলমান হিসেবে ইসলাম পরিপন্থী এ আইন সংশোধন করে ৯০ শতাংশ মুসলমানের এই দেশে বাস্তবভিত্তিক আইন-প্রণয়ন করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, নাস্তিক মুর্তাদ শক্তি বাংলাদেশের পরিচয় বদলে দিতে চেয়েছিল তার মোকাবেলায় আল্লামা আহমদ শফির নেতৃত্বে হেফাজতের ইসলামের উত্থান হয়েছে। অতীতে ঝড় মোকাবেলায় হেফাজত সফল হয়েছে। ভবিষ্যতেও হেফাজত নাস্তিক্যবাদের এই ঝড় মোকাবেলায় সফল হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আগামী দিনের রাজনীতি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অরাজনৈতিক হেফাজতের প্রভাব থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দুই দিনব্যাপী শানে রেসালত সম্মেলন শনিবার বিকালে শুরু হয়। রবিবার সমাপনী দিনের বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের জেলা সভাপতি মাওলানা আবুল হাছান, প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলানা সোহাইব নোমানী, মাওলানা মাসরুর আহমদ। আলোচনা করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের এ দেশে ঈমান আক্বীদা বিরোধী কোন ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। মহানবী (সা.)-এর শানে বেয়াদবীকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে হবে। সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াছিন হাবীব।
হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার শাখা আয়োজিত কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দু’দিনব্যাপী শানে রেসালত সম্মেলন গতকাল সমাপনী দিবস বাদ আছর থেকে শুরু হয়। বক্তব্য রাখেন, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আল্লামা মুইনুদ্দিন রূহী, মাওলানা মুজিবুর রহমান যুক্তিবাদী, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ও মাওলানা জসিম উদ্দিন মিসবাহ।
ময়মনসিংহে জুনায়েদ বাবুনগরী
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : দেশবরেণ্য মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী কওমী মাদ্রাসা নিয়ে এক মন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে বছর কয়েক আগের দেয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে বলেছেন ‘এক মন্ত্রী বলেছিলেন কওমী মাদ্রাসা বিপজ্জনক। আমি বলেছিলাম ওই মন্ত্রীই বিপজ্জনক। কওমী মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী বের হয় না। বের হয় ওলামায়ে রাব্বানী, ইমাম, খতিব ও আদর্শ শিক্ষক।’
শনিবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী আয়োজিত সীরাতুন্নাবী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নাস্তিকতার অভিযোগে অভিযুক্ত বøগারদের মৃত্যুদÐ আইনের দাবিতে নিজের শক্ত ও অনড় অবস্থানের কথা জানান বাবুনগরী।
এদেশের মানুষ ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু বুঝে না মন্তব্য করে বাবুনগরী বলেন, হেফাজতের আন্দোলনের মূল কারণ হলো নাস্তিক মুরতাদরা নবী করিম (সা:) কে নিয়ে কটূক্তি করে। এগুলো ফেসবুকে, অনলাইনে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি বলেন, যারা নবীর শত্রæ, যারা নবীর সঙ্গে বেয়াদবী করে তাদের মাথা দেহের সঙ্গে থাকতে পারে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।