পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘কিয়ামত’ পর্যন্ত হলেও শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গতকাল রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের এই আন্দোলন, শুধু ক্ষমতায় যাওয়াটা আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের আরো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, কিয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করব তবুও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করব না।
দলের সিনিয়র এক আইনজীবী নেতার প্রতি ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর বলেন, যারা স্বপ্ন দেখেন নানাভাবে। আমাদের মাঝেও কিছু কিছু আইনজীবী ফর্মুলা দেন, জেল হবে, জামিনও হবে আবার নির্বাচনও হবে। তাদের বলব, এই সব ফর্মুলা দেয়া বন্ধ রাখেন।
কিসের জেল, কী কারণে জেল? যাদের ফাঁসি হওয়ার কথা তারা রাষ্ট্র চালায়, আর আমরা কোনো অপরাধ না করে আমাদের নেত্রীর জেল দেবে। এতই সহজ নাকি বাংলাদেশটা, আমরা কী সব মরে গেছি নাকি? আর কী জেল দেবে, সারা দেশটাই তো একটা জেলখানা।
গত ২৫ ফেব্রæয়ারি এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার আইনগত দিকে ব্যাখ্যা করে বলেন, সরকারপ্রধান ও তার মন্ত্রীরা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা নিয়ে নানা রকম কথা বলছেন। তারা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার যদি শাস্তি হয়ে যায়, উনার তো আর নির্বাচন করা সম্ভব নয়- এই যে একটা ধারণা এটা সঠিক নয়।
আমি পরিষ্কার করে বলছি, মিথ্যা মামলায় তার যদি সাজাও হয়, আগামী নির্বাচনে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। শুধু প্রতিদ্ব›িদ্বতাই করতে পারবেন না, তিনি আমাদের দলের নেতৃত্ব দিতে পারবেন, জোটের নেতৃত্ব দিতে পারবেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে বীরোত্তম শহীদ জিয়া শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
নির্বাচনে না গেলে নিবন্ধন বাতিল হবেÑ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এই বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ক্ষমতাসীনরা বলছে, নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। যে লাইসেন্সে কাজ করতে পারব না, সেই লাইসেন্স থাকলে কী না থাকলেই কী? লাইসেন্স পকেটে নিয়ে ঘুরলাম, সেই লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারলাম না, বছর বছর ট্যাক্স দিলাম, সিটি কর্পোরেশনকে ফি দিলাম, সেই লাইসেন্স না রেখে ফেলে দিলে কী হবে? কিছুই হবে না।
আমরা বলতে চাই, নিবন্ধন বাতিল করবেন, ওসব জুজুর ভয় দেখাবেন না। তবে আপনাদের রাজনীতি যে জনগণের মন থেকে বাতিল হয়ে গেছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর আপনি প্রতিপক্ষকে হাত-পা বেঁধে দিয়ে সাঁতারে প্রতিযোগিতা করবেন, এটা হবে না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামের ভয়ে সরকার কম্পমান কেন? কেন বারবার বলেন, জামায়াত ছাড়েন। জামায়াতের তো নিবন্ধন নেই। সুতরাং জামায়াত ছাড়লেই কী না ছাড়লেই কী। তারা তাদের রাজনীতি করছে লাইসেন্সবিহীনভাবে।
১৯৯৬ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াতকে নিয়ে আওয়ামী লীগ আন্দোলন করার ইতিহাস তুলে ধরে এর সমালোচনা করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী, শেখ হাসিনা ও মওদুদ আহমদের ছবি পত্রিকায় ওই সময়ে ছাপা হয়নি। সেই ছবি কি কথা বলে না। অর্থাৎ রাজনৈতিক কৌশল। তারা যখন রাজনৈতিক কারণে সখ্যতা করে সেটা হয়ে যায় রাজনৈতিক কৌশল। আর আমরা যখন ভোটের জন্য হোক, আন্দোলনের জন্য হোক জামায়াতের সাথে মিছিল করি, তখন আমরা হয়ে যাই রাজাকার। কে যে রাজাকার, কে যে কি এটা বোঝা বড় কষ্ট।
সংগঠনের সভাপতি কাজী মুনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।