পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট অফিস : সিলেটে সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতকের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে বর্বরভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের বিরুদ্ধে রায় আগামী ৮ মার্চ ঘোষণা করা হবে। গতকাল রোববার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ তারিখ ধার্য করেছেন। এসময় আদালতে একমাত্র বদরুল আলম কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১ মার্চ সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ওই আদালতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে সীমাবদ্ধতা থাকায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে দায়রা জজ আদালতে আসে মামলাটি। গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এ ছাড়া ঘটনার পর শাবি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে। পরে ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে ৩২৪, ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন মামলার বাদীসহ ১৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে ১১ ডিসেম্বর ১৫ জন এবং ১৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন আরো একজন। সর্বশেষ গত ২৬ ফেব্রæয়ারি আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন খাদিজা। সবমিলিয়ে ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে ৩৪ জনের। শাবি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হওয়া খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ২৮ নভেম্বর সাভারে সিআরপিতে ভর্তি করা হয় খাদিজাকে। প্রায় তিন মাস সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সুস্থ হয়ে সিলেটে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন খাদিজা। মাঝে এক ফেব্রæয়ারি সপ্তাহখানেকের জন্য বাড়ি ঘুরে যান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।