পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া : নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদ হুজি’র সক্রিয় সদস্য মিয়া মোর্শেদ শরীফ হাসান ওরফে কল্লোল আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল রোববার দুপুর একটায় কুষ্টিয়া র্যাব ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণ উপলক্ষে র্যাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২’র অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, হরকাতুল জিহাদ সংগঠনকে আরো সুসংহত ও শক্তিশালী করতে হুজি’র সদস্য কল্লোল বিভিন্ন লোকজনকে দাওয়াত দিতে থাকে এবং তার জমিতে একটি খামার করার পরিকল্পনা করেন। সেই খামারে লোকজনকে কর্মসংস্থান করে সংগঠনের লোকবল বৃদ্ধি করা এবং খামারের লভ্যাংশের একটি অংশ জেল হাজতে অবস্থান করা জঙ্গির পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার পরিকল্পনা ছিল। ২০১৬ সালে পুলিশের একটি দল ঢাকা থেকে ৬ হুজি সদস্যকে গ্রেফতার করে। সেসময় আজকে আত্মসমর্পণ করা হুজি সদস্য কল্লোল পালিয়ে যায়। পরে পোশাক পরিবর্তন এবং দাড়ি কেটে পলাতক জীবন যাপন করতে থাকে। সরকার আত্মসমর্পণের সুযোগ দিলে কল্লোল র্যাব অফিসে এসে আত্মসমর্পণ করে।
তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্মূল র্যাবসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মের নামে অন্ধকার পথে ধাবিত বিপথগামী উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকার ঘোষিত আত্মসমর্পণ কর্মসূচীর আওতায় চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজকের এই জঙ্গী আত্মসমর্পণ সম্পন্ন হলো। কুষ্টিয়া র্যাবের কাছে ২য় ব্যক্তি হিসেবে জঙ্গী সদস্য কল্লোল আত্মসমর্পণ করলেন। এসময় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আত্মসমর্পণ করা হুজি’র সক্রিয় সদস্য মিয়া মোর্শেদ শরীফ হাসান ওরফে কল্লোল (৩৮) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দুর্বাচারা দমদমা গ্রামের মরহুম শফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।