Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে কাজ করুন

মানুষের বাসা-বাড়িতে গিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড অবহিত করতে হবে

| প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহিলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ সংবাদদাতা  : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিজেদেরকে অপাঙক্তেয় ভাবা যাবে না। প্রত্যেকটা মানুষেরই কর্মদক্ষতা আছে। যার যেটুকু তা দেশের সেবায় কাজে লাগাতে হবে। তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আওয়ামী লীগ যেন পুনরায় সরকার গঠনে সক্ষম হয় সে জন্য মহিলা আওয়ামী লীগের সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করার জন্য তাদের বাসা-বাড়িতে যাওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু ও পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, সন্তানদের সঙ্গে মায়েদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে আর কেউ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির পথে না যায়। সন্তানের জন্য সব থেকে বড়ো বন্ধু হবেন ‘মা’। মা’য়ের কাছে সন্তান যেন নির্দ্বিধায় তার যে কোন সমস্যার কথা বলতে পারে সেই ধরনের একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যেটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনা বলেন, একটা কথা মা-বোনদের বলে রাখি- বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কোন স্থান নাই। মাদকাসক্তি থেকে সন্তানদের রক্ষা করতে হবে। এ জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ছেলে-মেয়েরা যেন লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নারীদের উদ্দেশে বলেন, নিজেদেরকে কখনও অপাঙক্তেয় ভাবা যাবে না। প্রত্যেকটি মানুষেরই কর্মদক্ষতা আছে, কর্মক্ষমতা আছে। যার যেটুকু আছে সেটা দেশের কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক কর্মী তাদের একটাই লক্ষ্য থাকতে হবে- রাজনীতির মধ্যদিয়ে আমরা জনগণকে কি দিতে পারলাম এবং আমাদের মা- বোনেরা, তাদের কাছে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যেতে হবে। তাদের জন্য আমরা যে কাজগুলো করেছি সেগুলো তাদেরকে বলতে হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এরপর সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আশরাফুননেছা মোশাররফ। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাফিয়া খাতুন স্বাগত বক্তৃতা করেন। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুননেছা ইন্দিরা এমপি।
শেখ হাসিনা নারীদের উদ্দেশে বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে নারীরাও কোন কোন ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা মায়ের জাত আর ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ হত্যা করে কিভাবে তারা ইসলাম ধর্ম পালন করছে আমি জানি না। যারা এরকম নিরীহ মানুষ হত্যা করবে তাদের স্থান কখনও বেহেশেতে হতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ হত্যা মহাপাপ, মানুষ হত্যাকারীর স্থান হবে দোজখে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মী ভাই-বোনদের আমি বলব আপনারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যারা এসেছেন- তারা নিজ নিজ পরিবারে লক্ষ্য রাখবেন ছেলে-মেয়রা কোথায় যায় এবং কার সঙ্গে মেশে, কি করে, পড়াশোনা ঠিকমতো করছে কিনা, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত যাচ্ছে কি না, নিশ্চই সেটার খবর রাখতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস মোকাবেলায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান করেছি এবং ঐক্যবদ্ধ করেছি। সেখানে অভিভাবক, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম এবং ওলামা মাশায়েখগণসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যার যার নিজের সন্তানদের রক্ষা করতে হবে। এই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এবং মাদকাশক্তির পথে যেন তারা না যায়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আপনারা দেখেছেন তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা কোথায় চলে গেছে। সারাদেশে ৩ হাজার ৩৩৬ জন অগ্নিদগ্ধ এবং সাড়ে ৩শ’ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। স্কুল ছাত্র অনিক আর হৃদয়কে আমি চিকিৎসা করাচ্ছি। যতই চিকিৎসা করাই তাদের দেখলে কষ্ট লাগে- বোমার আঘাতে তাদের সৃষ্ট ক্ষত সারাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। ৬ বছরের শিশু রুপা, অন্তঃসত্ত¡া নারী মনোয়ারা বেগম, স্কুল শিক্ষিকা শামসুন্নাহার ঝর্ণাও বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস থেকে রেহাই পায় নাই।
প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ভোলার লালমোহন ও আশাপাশের গ্রামে ১০ বছরের শিশু থেকে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ কেই বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। পাক হানাদারবাহিনীর মতই তারা বর্বর সন্ত্রাস-নির্যাতন চালিয়েছে।
নির্যাতনের ভয়াবহতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরিশালের গৌরনদী- আগৈলঝড়ায় মা-মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ করা হয়েছে। ৫ মাসের অন্তঃসত্ত¡া নারী সাবিত্রী দাসের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। লজ্জায় তারা অনেকেই কাউকে কিছু বলতে পারেনি। তারা অনেকেই আমার কাছে এসে তাদের এই কষ্টের কথা জানিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, রাজশাহীর ৭ বছরের শিশু রজুফা ধর্ষিত হয়েছে। নেত্রকোনাতেও মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, রাজশাহীতে মহিমা আত্মহত্যা করেছে। খুলনায় রুমাকে তুলে আনতে গেলে সে আত্মহত্যা করে ইজ্জত রক্ষা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, রংপুরের নিসবেদগঞ্জে, যারা তীর ধনুক নিয়ে এক সময় পাক পানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল তারাও ভয়াবহ সন্ত্রাস, নির্যাতন ও পাশবিকতার শিকার হয়েছে। বসতবাড়ি দখল করে রাতারাতি পুকুর কেটে বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। পুকুরের পাশে চুলা দেখতে পেয়ে সেটি যে বসতবাড়ি ছিল তা চিহ্নিত করা গেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। মাদারীপুরে ২ বছরের শিশু রোকসানাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে চুলায় নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ বছরগুলোতেও একই কায়দায় জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে নির্যাতন করেছে জামায়াত-বিএনপি’র সন্ত্রাসীরা। একদিকে জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেই দৃশ্যতো এখনো চোখে ভাসে। সেই যন্ত্রণা নিয়ে এখনো অনেকে বেঁচে আছেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি আমার মা বেগম ফজিলাতুননেছা মুুিজবের কথা। তিনি ছিলেন জাতির পিতার ছায়াসঙ্গী। কারাগারে থাকার সময় এক হাতে সংসার সামলে জাতির পিতার মামলা পরিচালনা করা, সংগঠন চালানো আবার আন্দোলন জমিয়ে তোলা- সবই করেছেন একহাতে।
প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধে সম্ভ্রমহারা নারীদের পুনর্বাসনে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাদের জন্য পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। সুইজারল্যান্ড থেকে বঙ্গবন্ধু নার্স, ডাক্তার নিয়ে এসে তাদের চিকিৎসা করান। যাদের অ্যাবরশন করানো যায় অ্যাবরশন করান এবং যাদের অ্যাবরশন করানো সম্ভব হয়নি তাদের সন্তান জন্ম দিয়ে বিশ্বের বহুদেশে পাঠিয়ে পুনর্বাসন করেন। তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু তাদের ‘বীরাঙ্গনা’ উপাধি দেন। এসব নারীদের অনেকেরই বিয়ের সময় সমস্যা দেখা দিলে বাবার নামের স্থলে বঙ্গবন্ধু বলেন- ‘লিখে দাও পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান, বাড়ি ধানমন্ডি ৩২। আর তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এসব নারীদের স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার সরকারের আমলে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের খন্ডচিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রথম সচিব, মহিলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, আর্মি, নেভী, এয়ার ফোর্সে প্রথম নারী সদস্যদের তাঁর সরকারই নিয়োগ প্রদান করে। শুধু তাই নয়, মহিলা বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, হাইকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের জজ হিসেবেও নারীদের নিয়োগ করা হয়।
তিনি স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে বর্তমানে ২১ জন সরাসরি নির্বাচিত নারী সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ৫০ জন প্রতিনিধি রয়েছেন।
আবুল মাল মুহিতের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী
দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার সমালোচনায় পড়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নয়, সরকারের পদক্ষেপের ফলেই দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করেছিলেন মুহিত। তিনি বলেছিলেন, এক সময় এদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। সেখান থেকে এখন ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংক এ ভূমিকাটি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমার দুঃখ লাগে সেদিন অর্থমন্ত্রী এমন একজনের প্রশংসা করে ফেললেন, যার কারণে আমার পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। এরপর আমাকে আমেরিকা থেকে বারবার থ্রেট (হুমকি) করা হয়। অথচ তিনি তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গতকাল শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই ক্রেডিট নেন। ক’দিন আগে আমাদের অর্থমন্ত্রী খুব ক্ষুদ্রঋণের প্রশংসা করে বললেন যে, ক্ষুদ্রঋণের জন্য নাকি দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন যদি তার জন্যই হতো, তাহলে আর ৬০ ভাগের মতো দারিদ্র্য থাকে কেন, কীভাবে এটা ২২ ভাগে নেমে এসেছে কবে নেমে এসেছে।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অর্থমন্ত্রীকেই বলব, উনি যদি হিসাব নেন, দারিদ্র্য যে ২২ ভাগে নেমে এসেছে, সেটা কাদের আমলে? আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ; যেটা অর্থমন্ত্রীও কর্মসূচি দিয়েছেন আবার কিবরিয়া সাহেব যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তাকে দিয়েও আমি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালে যেসব কর্মসূচি নিয়েছিলাম, তারই ফলাফলে আজকে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র্য লালন-পালন হয়। আর যারা ক্ষুদ্রঋণের ব্যবসা করেন, তারা সম্পদশালী হয়, তারা ধনশালী হয়। কারণ, সপ্তাহে সপ্তাহে উচ্চহারে সুদ; ওই গরিবের মেয়েরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে টাকা কামাই করে সে টাকা সুদ হিসেবে চলে যায়। সে কোনোমতে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারে, কিন্তু দারিদ্র্যের হাত থেকে উঠে আসতে পারে না। যারা এই ব্যবসা করে, তারা চায়ও না এরা দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক। কারণ, দারিদ্র্য থেকে উঠে আসলে তাদের ব্যবসাই চলে যাবে। তারা কাকে নিয়ে ব্যবসা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি করতে এসেছি, ব্যবসা করতে না। মানুষের ভাগ্য গড়ার জন্য এসেছি। দরিদ্র মানুষকে নিয়ে ব্যবসা করে বিত্তশালী হওয়ার জন্য আসিনি, এসেছি মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে। এসেছি জনগণের সেবা করতে, কল্যাণ করতে। যার কারণে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের গৃহীত কর্মসূচির ফলে দারিদ্র্যবিমোচন হচ্ছে। কারণ আমরা মানুষকে দারিদ্র্যবিমোচন করতে চাই। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা অর্জন করতে চাচ্ছি। যেন কারওর কাছে হাত পেতে নয়, কারওর কাছে মাথা নত করে নয়।



 

Show all comments
  • তানিয়া ৫ মার্চ, ২০১৭, ৩:১৪ এএম says : 1
    আদৌ কী মানুষ তাদের ভোটাধিকারের যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে?
    Total Reply(0) Reply
  • জাকিয়া সুলতানা ৫ মার্চ, ২০১৭, ৩:১৫ এএম says : 0
    নারীরা অধীকার পেলেও এখনো পুরোপুরি নিরাপত্তা পায় নি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৫ মার্চ, ২০১৭, ১০:৪২ পিএম says : 0
    I do agree with PM Hasina. She is undoubtedly a great PM. Our FM Muhit already became old, so it is the high time to retired. Thanks Hasina to realize about Muhit and Kibriya. Kibria was the best FM of Bangladesh. Finally FM Kibria received his recognition from PM Hasina. Allah is great no doubt.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ