পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লোহাগড়া উপজেলা সংবাদদাতা : লোহাগড়া উপজেলার ২৯নং নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে রডের সাথে বাঁশ ব্যবহার করে পিলার ও ছাদ নির্মাণ করায় এখন তা ফেটে বাঁশ বের হয়ে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ কাজ করার বিষয়টি দৃশ্যমান হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
গত শনিবার বিদ্যালয় গিয়ে জানা গেছে, ২০০২-২০০৩ সালে ২৯ নং নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই ভবন নির্মাণে নোয়াগ্রামের ছাপা ও নাজির নামের দুই ব্যক্তি ঠিকাদার ছিলেন। ভবন নির্মাণের সময় তারা রডের পাশাপাশি বাঁশ ব্যবহার করেন। সম্প্রতি বিদ্যালয় ভবনের পিলারের ঢালাই ও প্লাস্টার খসে বাঁশের অংশ বিশেষ বের হলে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে। নির্মাণ কাজে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করায় ভবনের ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে ভবনটি। আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে ওই ভবনেই চলছে প্রায় দেড়শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান। এ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে। এদিকে ভবনে ফাটল ও বাঁশ বের হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরাও প্রাণভয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী রবিউল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটির ছাদে ফাটল ও ভবনের পিলারে বাঁশ বের হওয়ার ঘটনাটি সত্য। তবে এ বিষয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। লোহাগড়া উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গণী জানান, ‘ভবনের ওই অংশে বাঁশ ব্যবহার করা হলেও অন্য কোন অংশে বাঁশ ব্যবহার হয়ে না থাকলে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হবে না’।
বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজে দুর্নীতি করার বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও তদারককারী প্রকৌশলীসহ কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।