পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের সামনে বসানো গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবি করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১৩টি ইসলামী সমমনা দল। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে এ দাবি না মানলে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী দলগুলোকে সাথে নিয়ে তারা এ বৃহত্তর কর্মসূচি পালন করবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিরাট মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, হাইকোর্টের সামনে গ্রিক দেবী মূর্তি বসানো হয়েছে প্রধান বিচারপতির একক সিদ্ধান্তে। তারা বলেন, ‘মূর্তি যেই বসাক না কেন, এর দায়ভার পুরোটাই সরকারের ওপর বর্তাবে। তাই এটি অপসারণের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।’ মূর্তি বসানোর ক্ষেত্রে কোনো আইন, বিধান, নিয়ম মানা হয়নি। কারণ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কেউই জানেন না দেড় কোটি টাকা মূল্যের গণবিরোধী, রাষ্ট্রধর্ম বিরোধী এ মূর্তি কীভাবে বসানো হলো। এ মূর্তি নিয়ে যে পরিস্থিতি উদ্ভব হবে তার দায় শুধু সরকারের ঘাড়েই পড়বে। তাই এই মূর্তি বসানোর অপসিদ্ধান্ত যে নিয়েছে তার বিরুদ্ধে গণবিরোধী, সংবিধান বিরোধী, ধর্ম বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে বিচার করতে হবে।
মানববন্ধনে উত্থাপিত অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে হাইকোর্টের রায় উচ্চ আদালতেও বহাল রাখতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের সিদ্ধান্ত ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান কখনো মেনে নিবে না। যে কোনো মূল্যে তা প্রতিহত করবে।
আসন্ন বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে সরকারিভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের সংস্কৃতিমন্ত্রীর ঘোষণার অর্থ- মুসলমানদেরকে হিন্দুয়ানী উৎসব পালনে বাধ্য করা। এটা কোনো মুসলিম সংস্কৃতি নয়। অবিলম্বে এটা প্রত্যাহার করতে হবে। ‘পহেলা বৈশাখ’ এবং ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাঙালি বা মুসলমানদের সংস্কৃতি নয় বরং হিন্দুদের ধর্মীয় সংস্কৃতি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে স্পর্শকাতর ‘প্রতিরক্ষা চুক্তি’ নয় বরং তিস্তা চুক্তি ও গঙ্গা ব্যারেজসহ দেশের স্বার্থের অনুক‚লে সব চুক্তি চায় দেশবাসী। তিস্তা চুক্তি, গঙ্গা ব্যারেজ চুক্তি নিশ্চিত না হলে ভারত সফর করা উচিত নয়।
বিবাহের ক্ষেত্রে বয়সের সময়সীমাও তুলে দিতে হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৬ বাতিল করতে হবে। ইসলামবিদ্বেষী বিদেশি এজেন্ট যেসব এনজিও বিবাহবহির্ভূত কুমারীমাতা উৎপাদন করতে চায় এসব এনজিওগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী বলেন, হাক্কানী ওলামা কিরাম পাঁচ হাজার হাদীছ শরীফের কিতাব ও পাঁচ হাজার ফিকাহের কিতাব থেকে ফতোয়া দিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহ ঈদের নামাজসহ কোনো নামাজই হবে না। কারণ রাষ্ট্রপতিসহ সাধারণ নাগরিক যখনই নামাজ শেষ করে ডানদিকে সালাম ফিরাবেন তখন দেখবেন মূর্তি।
শেখ শরীয়তপুরী বলেন, এর আগে হজ শেষ করে বিমানবন্দরে এসে হাজি সাহেবরা মূর্তি দেখবেন বলে, সেখানে লালন ভাস্কর্য দেখবেন বলে লালন ভাস্কর্য সরানো হয়েছে। একইভাবে অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্ট থেকেও মূর্তি সরাতে হবে। নইলে নামাজ হবে না।
ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী তার দক্ষ প্রশাসনের দ্বারা যখন আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে উন্নয়নের সমাসড়কে দেশকে উঠিয়ে, বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন তখন ষড়যন্ত্রকারী ও ব্যর্থ নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধান বিচারককে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করে সুপ্রিমকোর্টে মূর্তি বসিয়েছে। এতে করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছে। ধর্মপ্রাণরা ক্ষুব্ধ ও আলোড়িত হচ্ছে, আন্দোলিত হচ্ছে। এ সুযোগ নিয়ে হেফাজতিরা এখন ৫ মের মতো আরেকটা আন্দোলন করার ঘোষণার সুযোগ পেয়েছে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি পীরজাদা পীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী। সভাপতিত্ব করেন, ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার। এছাড়া বক্তব্য রাখেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতিসহ সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি হুজুর-সভাপতি বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ সমিতি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।