Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঢাবি’র ভর্তি ফরম পাইনি অথচ আজ চ্যান্সেলর

আল্লাহর কি মহিমা

| প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ক্লিন ইমেজ ও হাস্যরসাত্মক কথাবার্তার জন্য সর্বত্রই সমানভাবে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ। প্রায়শই তাকে নির্ধারিত বক্তব্যের বাইরে দেখা যায় নানা হাস্যরসাত্মক কথা বলতে। আর এসব মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে থাকেন শ্রোতারাও। এবারে তার ব্যতিক্রম হয়নি ঢাবি’র ৫০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও। সমাবর্তনে তার জন্য নির্ধারিত বক্তব্যের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ থামিয়ে দিয়ে মেতে উঠেন নিজের সরল ভঙ্গিমার কথা নিয়ে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিক পাস করি, থার্ড ডিভিশন পেয়ে। আর ইন্টারমিডিয়েটেও এক বিষয়ে রেজাল্ট খারাপ ছিল। ভর্তি তো দূরের কথা, আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম তোলার যোগ্যতাও ছিল না। অথচ আল্লাহর কি লীলাখেলা যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসে আমি ভর্তি ফরম পাইনি, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আমি। আবার বাংলাদেশের সব পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েরও চ্যান্সেলর।’
তিনি আরো বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারিনি তবে ছাত্র রাজনীতি করার কারণে মোটামুটি এখানকার সব হলে আমি এসেছি, রাত্রিও যাপন করেছি প্রতিটি হলে। তবে রোকেয়া হলে ছিলাম না, সে সুযোগও ছিল না, তবে এর আশেপাশে খুব ঘোরাঘুরি করেছি। একথা বলার পর হাসিতে ফেটে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিক পাস ও এরপর ইন্টারমিডিয়েট পাস করে বিএ পাস  করেছি ১৯৬৯ সালে। বারবার পরীক্ষা দিয়েও ফেল করার পরে আত্মীয়-স্বজনসহ সবাই বিএ পাসের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা শুরু করলো। ছাত্র খারাপ ছিলাম শুধু তাই নয়, দুই দুই বার জেলেও ছিলাম। তখন কিশোরগঞ্জের এক সমাবেশে ঘোষণা করি, যতদিন পর্যন্ত স্বৈরাচার আইয়ুব খান ও মোনায়েম খানকে উৎখাত করা যাবে না, ততদিন আমি বিএ পাস করবো না। উত্তর হয়ে গেছে, এরপর আর কেউ আমাকে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করেনি।
বক্তব্যে তিনি ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য ছাত্র রাজনীতির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। ডাকসু নির্বাচনের গুরুত্বও তুলে ধরেন তার বক্তব্যে। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন ইজ মাস্ট। ছাত্র রাজনীতিতে ৪৫-৫০ বছরের নেতাদের কথা টেনে এনে তিনি বলেন, এদের তো ২১-২২ বছর বয়সী সন্তান থাকার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাবা ছেলে কি একই সংগঠন করবে তাহলে? এদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০-২২ বছর বয়সী ছেলেদের এডজাস্ট হয় কিভাবে আমি বুঝি না।
একথার মাঝে তিনি তার তাড়াতাড়ি বিবাহ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি ২০ বছর বয়সে বিয়ে করে ফেলেছি। বিয়ের সময়পযোগিতা বুঝাতে তিনি বলেন আমাদের দেশে বারোমাসি কাঁঠাল পাওয়া যায় এখন, তবে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসের কাঁঠাল যে মজা তা কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসের কাঁঠালে পাওয়া যায় না।
তারপর তিনি তার নির্ধারিত বক্তব্যে ফিরে গেলে ছাত্র-ছাত্রীরা চিৎকার করে তাকে আরো কথা বলার অনুরোধ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ