পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মঘট বা রাস্তায় আন্দোলন করা সংবিধানপরিপন্থী’ মন্তব্য করে সংবিধান প্রণেতা ও সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আদালতের রায় যদি কারো পছন্দ না হয়, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন না করে আপিল করাই হচ্ছে সাংবিধানিক পন্থা। সেখানে গিয়ে তারা সব কথা বলতে পারবেন। কিন্তু আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করা সরাসরি সংবিধানের বিরুদ্ধে আঘাত।’ গতকাল সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। গাড়িচালকদের ধর্মঘট প্রসঙ্গে বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ভয়াবহ একটা অবস্থার আমরা সৃষ্টি করে ফেলেছি। মূলত দেশে আইনের শাসন কাজ করে না বলেই অশিক্ষিত ড্রাইভাররা লাইসেন্স পাচ্ছে।’ গাড়ি চালকদের সাজার বিষয়ে ড.কামাল বলেন, ‘গবেষণা করে দেখা গেছে, সাজা দিয়ে আসলে এটা বন্ধ করা সম্ভব হয় না। ফাঁসির সাজা হয়ে কি ধর্ষণ বন্ধ হয়েছে? খুন বন্ধ হয়েছে? সরকার, মালিক এবং নাগরিকরা মিলে যৌথভাবে কাজ করলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।’
জনগণের নিরাপত্তার বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেন, গণতন্ত্র ঠিকমতো চললে সরকার, সরকারের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সবাই এক সঙ্গে পরিবেশ রক্ষা করলে জানমালের নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি হবে। তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলে থাকি, কার্যকর গণতন্ত্র। দেশের জনগণ ক্ষমতার মালিক। এই জনগণ যদি মালিকের ভ‚মিকা না রাখে তা হলে এই অরাজকতা মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘এটি মানুষ হিসেবে আমাদের অবনতির লক্ষণ। মন্ত্রী, এমপি হওয়ার জন্য, ছোট ছোট বিষয়ে একজন আরেকজনকে মেরে দিচ্ছে। কে কোন চেয়ারে বসবে সেটা নিয়ে ঝগড়া লাগলেই গুলি করে মারছে। এটা তো অকল্পনীয়। এর অর্থ হচ্ছে সমাজে রোগ ঢুকেছে। আমাদের সমাজ রোগে আক্রান্ত। দলমত নির্বিশেষে আমরা যারা চাই সুষ্ঠু সমাজ তাদের সবাইকে মিলে পাহারা দিতে হবে। তরুণদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে, এটা একটা ভয়াবহ অবস্থা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।