Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শিক্ষার্থীদের বড় চুল কেটে বরখাস্ত হলেন শিক্ষক

| প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বন্দরে এমপি সেলিম ওসমানের নির্মিত শেখ জামাল উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর বড় চুল কাটার ঘটনায় ক্রীড়া শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার স্কুলটিতে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভায় ক্রীড়া শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুমকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি এ ঘটনায় স্কুলটির প্রধান শিক্ষককেও দায়ী করেছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এ ছাড়াও এ ঘটনায় স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ইউপি মেম্বারকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান কর্তৃক নির্মিত শেখ জামাল উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির অন্তত ৩০ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, স্কুলের কতিপয় ছাত্রকে চুল বড় রাখায় বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়। তাতে কর্ণপাত না করায় প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার মুন্নির নির্দেশে ক্রীড়া শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুম তাদের চুল কেটে দেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় শনিবার সকালে স্কুলটিতে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা ডাকা করা হয়। এদিন সকালে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহাম্মেদের সভাপতিত্বে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার মুন্নিসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ধামগড় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আবু সাঈদ, ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফয়েজুর রহমান, ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নবীর হোসেন, সাবেক মেম্বার মোস্তফা কামাল, সোনা মিয়া ও জামান মিয়াসহ ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ধামগড় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আবু সাঈদকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদেরকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ক্রীড়া শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টে যারা দোষী প্রমাণিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহাম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত। তদন্ত রিপোর্টে যারাই দোষী হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ