পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সর্বোচ্চ বিচারালয় প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভ‚তিতে চরম আঘাত করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ঘেঁষে লেডি মূর্তি স্থাপন মুসলিমদের নামাজ বিনষ্ট করার অপচেষ্টা। মুসলমানদের ঈমানের উপর আঘাতকারী লেডি মূর্তি অপসারণ করুন অন্যথায় সর্বত্র কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠবে। অধ্যক্ষ মাদানী ১৩ মার্চ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ, মূর্তি অপসারণের দাবিতে ১৮ মার্চ গণসমাবেশ, ২১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুম’আ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ছাত্রনেতা হাসিবুল ইসলাম, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, ঈমান উদ্দিন, এইচ এম ছিদ্দিকুর রহমান, এহতেশামুল হক পাঠান, শরীফুল ইসলাম। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, আলহাজ আব্দুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, দক্ষিণ সেক্রেটারি মাওলানা এ বি এম জাকারিয়া, উত্তর সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে মূর্তি নেই এবং সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে অতীতে কোনো মূর্তি ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে কিভাবে এবং কারা এই গ্রিক মূর্তি স্থাপন করে বাংলাদেশে নতুন করে সা¤প্রাদায়িক হাঙ্গামা লাগাতে চায়? তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং কঠোর শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করতে হবে। অন্যথায় সরকারকে এর দায়ভার বহন করতে হবে। রাসূল (সা.) সর্বপ্রথম কাবা ঘরের মূর্তি ভেঙে চুরমার করে দিয়ে ছিলেন। কাজেই ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে মূর্তি সংস্কৃতি রুখে দিতে হবে। অধ্যাপক এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, মূর্তির সস্কৃতি ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র। এ থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধান বিচারপতি দেশের সম্পদ নষ্ট করে মূর্তি স্থাপন করায় জনগণের কাছে তার জবাব দিতে হবে।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত মূর্তি অপসারণ না করায় দেশ ক্রমেই সরকারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। জনমত সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেলে পতন ঘণ্টা বেজে যাবে। তিনি বলেন, এটা ভারতের সংস্কৃতি। অথচ ইসলাম এসেছে মূর্তিকে ভেঙে দিয়ে একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য। কাজেই মুসলমানদের চিন্তা-চেতনা বিনাশী মূর্তির সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অনেকে মূর্তির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় মৃত্যুর পর তাদের জানাজা কোনো মুসলমান পড়বে না এবং তাদের সাথে কেউ আত্মীয়তাও করবে না। ভবিষ্যতে কেউ মূর্তির পক্ষে অবস্থান নিলে তাদের বেলায়ও একই পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। তখন তা সামাল দেয়া সরকারের জন্য কঠিন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।