পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অপ্রাপ্ত বয়সেও বিয়ের বিধান রেখে বাংলাদেশে যে নতুন আইন করা হয়েছে সে বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। নতুন এই আইনে ছেলেদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ধরা হয়েছে ২১ বছর এবং মেয়েদের ১৮ বছর। কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতিতে অর্থাৎ কোন মেয়ে পালিয়ে গেলে, ধর্ষিত হলে অথবা বিয়ে ছাড়াই গর্ভবতী হয়ে গেলে তখন এই আইন শিথিল করা হবে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবিষয়েও কোন ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে না দেয়ায় এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন মেয়ের স্বাস্থ্য-ঝুঁকি নিয়ে তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশে জাতিসংঘের শিশু অধিকার রক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফ এই বিশেষ পরিস্থিতি ও শিশুদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেইগবেদার বলেন, বাল্যবিবাহ একজন মানুষের সারা জীবনের ওপর প্রভাব ফেলে। এটা তার জীবনে সুযোগগুলো কমিয়ে দেয় এবং শিশু হিসেবে তার বেড়ে ওঠাকে খর্ব করে।
উল্লেখ্য, এ সংক্রান্ত ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলের আইনটি বদলিয়ে বাল্যবিবাহ রোধ আইন এই সপ্তাহে জাতীয় সংসদে পাস হয়। ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, নতুন আইনে এই বিশেষ পরিস্থিতির বিধানটি দেশের এই সাফল্যকে মøান করে দেবে। এছাড়াও, এটি বিবাহিত শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়তে বাধ্য করবে। এ অবস্থায় নতুন করে শিশু শ্রম সৃষ্টি হবে বলে তারা মনে করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।