পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিলের ভয়ে প্রহসনের নির্বাচনী ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় দলের এই অবস্থানের কথা জানান ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আসতে হবে নতুবা তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে- এই ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, আপনাদের (বর্তমান সরকার) প্রহসনমূলক নির্বাচনের ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না। যেকেনো মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে।
একই সঙ্গে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিও তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকলে কোনো অবস্থাতেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যে নির্বাচনে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধন বাতিলের ধারা নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনীতির অঙ্গনে।
পরপর দু’টি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ অনুচ্ছেদের এইচ (১) ধারায়। এ অবস্থায় বিএনপিসহ ২১টি দলকে নিবন্ধন বাঁচাতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতেই হবে।
এ টি এম শামসুল হুদার কমিশন দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধনের শর্ত দিয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়। এর মধ্যে ৩৮টি দল ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদের ভোটে অংশ নেয়। এরপর ২০০৯ সালে সংসদে নিবন্ধন বিষয়ে আইনি সংশোধনী আনা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটে অংশ নেয় ১২টি রাজনৈতিক দল।
পুরানা পল্টনে বাংলাদেশে ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল নামের সংগঠনের ব্যানারে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়ে কোনো অবস্থাতে সেই সরকারের তার কোনো স্থান থাকবে না। যদি থাকতে হয়, অবশ্য তার ক্ষমতা সীমিত করে, তারই প্রস্তাব ছিলো এক সময়ে সর্বদলীয় সরকার করতে হবে। যেখানে মানুষ নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ‘অসহায়’ বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মাহবুব।
তিনি বলেন, সরকার যতই নিজেদের ইচ্ছেমতো নির্বাচন কমিশন গঠন করুক, না করুক, নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার যদি নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। নির্বাচন কমিশন এককভাবে সংবিধানে ক্ষমতা তাদের যা-ই ক্ষমতা থাকুক না কেনো, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। অতীতের নির্বাচনগুলোতে আমরা তা বুঝেছি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকবে তা ভাবার অবকাশ নেই। কারণ সরকার পরিবর্তনের নির্বাচনের সময়ে কোন সরকার থাকবে, তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সরকারের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনাও করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
সংগঠনের সভানেত্রী ফারহানা জাহান নীপার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো: আবু জাফর, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।