Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যাচাইয়ের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বন্ধ মন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর হয়নি

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কারণ দেখিয়ে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। কারো ভাতা বন্ধ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালে ন্যূনতম বয়স ১৩ না হওয়ার কারণে। কারো ভাতা বন্ধ হয়েছে গেজেট কিংবা সনদ না থাকায়। আবার এই যাচাই-বাছাইয়ের অজুহাতে হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন সম্মানী ভাতাভোগী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সারাদেশে বন্ধ করা হয়নি। যে যে জেলায় সমস্যা সেখানে বন্ধ রয়েছে। তবে অনেক জেলায় ভাতা দেয়ার নির্দেশ দেয়া রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহমুদ রেজা খান ইনকিলাবকে বলেন, যে উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক কাগজপত্র রয়েছে, তাদের ভাতা দেয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। আর যাদের নাই তারা পাবে না।
খুলনা, ফেনী, নাটোর, কুড়িগ্রাম. লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চাঁদপুরের ১৬৫ জন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা সময়মতো কাগজপত্র জমা না দেয়ার অজুহাতে বন্ধ করে দেয়ার পর ১১ মাসেও আর তা চালু হয়নি। এদিকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী নির্দেশ দিলেও অনেক জেলায় তা কার্যকর করা হয়নি। ভাতা বন্ধ থাকার বিষয়টি দ্রæত নিষ্পত্তি না হলে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
খুলনার ১৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষে যাচাইযোগ্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় তাদের ভাতা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও মুক্তিবার্তার তথ্যাদি দিয়ে তাদের আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র জাল এবং গেজেট নম্বর সঠিক না থাকায় দুইজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খুলনা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট নম্বর সঠিক না থাকা, মুক্তিবার্তার সঙ্গে তথ্যাদিতে অসঙ্গতি এবং মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষে যাচাইযোগ্য প্রমাণাদি না থাকায় তাদের সম্মানী ভাতা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের স্বামী শ্রমিক নেতা অধ্যাপক আবু সুফিয়ান, ১৯৭০ সালে রামপাল, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য লুৎফর রহমান মনি, খুলনার মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সরদার মাহাবুবুর রহমান, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান জোয়াদ্দার রসুল বাবু, নগরীর দৌলতপুরের এম জাফর সাদেক, কাজী আব্দুস সামাদ, খালিশপুরের মো. রজব আলী, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, খান আজম আলী, শীলা দে, শিরোমনির মিয়া আলী হায়দার, টুটপাড়ার ডা. জিএম মুনসুর হাবীব, শামসুর রহমান রোডের আসাদুল্লাহ আল ওয়ালিদ, শিপইয়ার্ড এলাকার মো. সেকেন্দার আলী, রায়েরমহল এলাকার মোল্লা দবীরউদ্দিন আহমেদ, ছোট বয়রার শেখ হাফিজুল্লাহ, মুজগুন্নীর কাজী আমিনুল ইসলাম, মীরেরডাঙ্গার মো. নজরুল ইসলাম, দাকোপ উপজেলার গড়খালীর গোলাম গাজী, সাহেবের আবাদ গ্রামের মনোরঞ্জন সরকার, লাউডোবের সুখলাল সরকার, গড়খালীর আনসার সরদার, আবুল সরদার, গুনারীর আকবর আলী গাজী, কৈলাশগঞ্জের দীপক সরকার, মোজাফফর সরদার, রূপসা উপজেলার আইচগাতী গ্রামের শেখ আব্দুস সাত্তার, শেখ মকবুল হোসেন, আনন্দনগর গ্রামের শাজাহান মোল্লা, খাজাডাঙ্গা গ্রামের অলিয়ার রহমান জোয়ার্দার, পুটিমারী গ্রামের আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, ঘাটভোগের সুলতান মোল্লা, শিয়ালী গ্রামের শেখ তৈয়াবুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলার কুলটি গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মন্ডল, খর্ণিয়ার আব্দুল হালীম মোল্লা, গজালমারীর নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস, কয়রা উপজেলার বামিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন, অন্তাবুনিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রেজাউল করিম, ঘুগরাকাটি গ্রামের মো. আলী সরদারসহ মোট ১৮৫ জন।
উক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দুই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে। অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন হাওলাদার (গেজেট নং-৩৩৭০) ও নগরীর স্যার ইকবাল রোডের স্বপন কুমার দাশ-এর মুক্তিবার্তার নম্বরটি সঠিক নয়। মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন। অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন হাওলাদার বিএনপি আমলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পিপি ও জিয়া পরিষদের খুলনা মহানগর আহŸায়ক ছিলেন। খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ইনকিলাবকে জানান, মন্ত্রণালয়ের চিঠির প্রেক্ষিতে এক দফা বৈঠক করা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার ইনকিলাবকে বলেন, প্রকৃত সম্মানী ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সরকার জেলা-উপজেলা কমিটি গঠন করে দিয়েছে। এই কমিটি যাচাই-বাছাই করে কিছু ভাতা বন্ধ রয়েছে। যাঁদের ভাতা বন্ধ করা হয়েছে তাঁদের ব্যাপারে কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে। কেন বন্ধ করা হলো আর কিভাবে আবার চালু করতে বলা হয়েছে। সেই কাগজপত্র এখন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। ভাতা বন্ধ হওয়ার উপযুক্ত কারণ না থাকলে তা আবার চালু হয়ে যাবে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ২০১৪ ২৪তম সভায় ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত তালিকা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষর করা সনদ ছাড়া অন্য সব গেজেটভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সঠিকতা নির্ণয়ের জন্য উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুসারে ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তার তালিকা ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষর করা সনদ ছাড়া অন্য সব সাময়িক সনদপ্রাপ্ত, গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের পোষ্যদের সম্মানী ভাতা গ্রহণের ক্ষেত্রে ‘চূড়ান্ত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে না পারলে গৃহীত সকল অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন’ মর্মে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার প্রদান করতে বলা হয়। কিন্তু এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় অঙ্গীকার নিয়ে ভাতা প্রদান নয়, সম্মানী ভাতাপ্রাপ্ত সব মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সনদ, গেজেট, জন্ম তারিখ, লাল মুক্তিবার্তা তালিকা ও ভারতীয় তালিকার নম্বর এই পাঁচটি বিষয়ে নির্দিষ্ট ছকে তথ্য প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ পাঠানো হয়। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তথ্য পাঠাতে বলা হয়। সে অনুসারে সারা দেশের ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমাও হয়। কিন্তু তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, জনবল সংকটের কারণে মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই সারা দেশে মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ব্যাপারে ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর মহানগর, জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন এবং কার্যপরিধি নির্ধারণ করে একটি পরিপত্র জারি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি, স্থানীয় এমপির একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রতিনিধি, উপজেলা কমান্ডার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে উপজেলা কমিটি ও অনুরূপভাবে জেলা/মহানগর কমিটি গঠন করা হয়। একই ভাবে আবারো সারাদেশে তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। সেটি কি হবে তা বলা হচ্ছে না।
যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদপত্র ও গেজেট আছে কি না, থাকলে এই দুটির নামের ক্ষেত্রে অভিন্নতা রয়েছে কি না, মুক্তিযুদ্ধকালীন ন্যূনতম বয়সসীমা ঠিক আছে কি না তা দেখার নির্দেশনা দেয়া হয়। বয়স যাচাই-বাছাইয়ে মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধকালীন ন্যূনতম বয়স ১৩ বছর নির্ধারণের ক্ষেত্রে যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তায় আছে এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষর করা সনদ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ৩০ নভেম্বর ১৯৭১ এবং অন্যদের ক্ষেত্রে ২৬ মার্চ, ১৯৭১ তারিখ অনুসরণ করতে বলা হয়। ফলে কিছু মুক্তিযোদ্ধার বয়স আট মাস প্রমার্জন করা হয়। কোনো কোনো এলাকায় যাচাই-বাছাই না করেই আগের মতো ভাতা প্রদান করা হচ্ছে, আবার কোনো কোনো এলাকায় যাচাই-বাছাইয়ের নামে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাঁদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখায় ভিড় করছে। কিন্তু তারা কোনো আশার আলো দেখছে না। মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা থেকে বলে দেওয়া হচ্ছে, তারা ভাতা বন্ধ করেনি। জেলা-উপজেলা কমিটি বন্ধ করেছে। কেন বন্ধ করেছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনে নিতে বলা হচ্ছে। তারা ভাতা দেওয়ার জন্য আবার কাগজপত্র পাঠালে ভাতা চালু হয়ে যাবে। কিন্তু আশ্বস্ত হতে পারছে না মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই- সেপ্টেম্বরে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা হিসেবে এক লাখ ৮০ হাজার ২৫৭ জনের অর্থ ছাড় করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের এপ্রিল-জুন পর্বের জন্য অর্থ ছাড় করা হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৩ জনের। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২১৯৬.০৬.৮৪ কোটি টাকা। তাঁদের মধ্যে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ৪১ জন। এই হিসাবে উল্লিখিত সময়ে তিন হাজার ৮৩৫ জনের ভাতা বন্ধ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আট হাজার টাকা করে দেওয়া হলেও এপ্রিল থেকে দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার টাকা করে।
চাঁদপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফারুক হোসেন জানান, তাঁর বাবা হাবিলদার ইলিয়াস মিয়া তিনি এখন মরহুম। ২০১৩ সাল থেকে তাঁরা ভাতা পাচ্ছিলেন। গত বছরের অক্টোবর থেকে আর ভাতা পাচ্ছেন না। একই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ওলিউল্লাহ হজ পালন করতে যাওয়ায় যাচাই-বাছাই কমিটির চাহিদামতো জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে পারেননি। তাই বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর সম্মানী ভাতা। ১১ মাসেও তা আর চালু হয়নি। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা পরিমল চন্দ্র দাশ জানান, তিনি ২০০৬ সাল থেকে সম্মানী ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে গেজেট না হওয়ায় ২০১৫ সালের জুলাই থেকে তাঁর ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ তিনি গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন ২০১২ সালে। এখনো তা হয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তফা কামাল জানান, তাঁর এলাকার ৩৮৭ জন ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। যাচাই-বাছাইকালে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ করা হয়। তিনি জানান, নির্দেশনা অনুসারে সাময়িক সনদ ও গেজেট দুটিই লাগবে। রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম লুৎফর রহমানের স্ত্রীর ভাতা বন্ধ।



 

Show all comments
  • শরীফ হাসান ৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:০৩ পিএম says : 1
    আমার বাবা ভারতের উচ্চতর পশিখন পাপ্ত আটিলারি মটর গূপ এর যোদ্ধা ।আমার বাবার নাম মূল ভারতীয় তালিকা যা ইবিআরসি তালিকা নামে পরিচিত সেখানে আমার বাবার নাম আছে। আমার পশ্ন আমার বাবার নাম মূল ভারতীয় ইবিআরসি তালিকায় থাকলেও তা মন্ত্রণালয়ের ওয়েভসাইটে নাই কেন। আর এ জন্যই আমাকে পুলিশের এস আই নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে হয়রানির অনেক তথ্য আছে যা আপনাদের দিতে পারবো।
    Total Reply(0) Reply
  • সাইদুর ১৩ মার্চ, ২০১৮, ৯:১৬ এএম says : 1
    আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা বাবার গেজেট হয় ২০০৫ সালে আমরা এখন পযনত ভাতা পাইনি বাবা মা মারা গেচে বাবা মা কেউ ভাতা পাইনি
    Total Reply(0) Reply
  • Amirul Islam ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ৭:৪৬ পিএম says : 0
    নতুন করে যাদেরকে যাচাই বাছাই করা হয়েছে সেই সব মুক্তিযোদ্ধা কবে নাগাদ তাদের স্বীকৃতি পাবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ