পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সহিংসতায় গত তিনদিনে অর্ধশতাধিক বাড়ীঘর ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে সালথার বিভিন্ন ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সহিংসতা আরো ব্যাপক আকার ধারন করতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সংসদ উপনেতার পুত্র আয়মান আকবর বাবলু চৌধুরী গ্রুপের সাথে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। ফলে প্রভাবশালী মহলটি দ্বারা আওয়ামী লীগের একটি অংশ হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়। এরই প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ গত বুধবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ‘নির্যাতন নিপীড়নের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি’ আহŸান করে। কর্মসূচিতে আসার পথে হামলার শিকার হয় একপক্ষের ১০ জন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০টি বাড়ী ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। এ ঘটনায় আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে আওয়ামী লীগের নির্যাতিত গ্রæপটি আয়মান আকবর বাবলু চৌধুরীর নানা অপকর্মের ফিরিস্ত তুলে ধরে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি তাকে রাজনীতি থেকে অবসর নেবার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবলু চৌধুরীর গ্রæপটি ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা মানববন্ধনে অংশ নেয়া গ্রæপের নেতা-কর্মীদের গ্রামছাড়া করতে পাঁয়তারা চালায়। এরই অংশ হিসাবে গতকাল শুক্রবার সালথা উপজেলার গট্রি ইউনিয়নের রহমান গট্রি, মেম্বার গট্রি, জয়ঝাপ, সিংহপ্রতাব গ্রামে ব্যাপক তাÐব চালায়। হামলায় গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তেলী সালথা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান মাতুব্বর ও আরেক নেতা সাহিদ মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ সাহিদ মাতুব্বর, তার সমর্থক ইছাহাক খা, খাজা ফকির মোল্যা ও চুন্নু মাতুব্বরের ১০টি বাড়ী ভাঙচুর করে। বাড়ী ভাঙচুরের পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়।
অন্যদিকে, গট্টি ইউনিয়নের মেম্বর গট্টি গ্রামে রফিক মাতুব্বরের সাথে আজিত মোল্যার বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে আজিত মোল্যার সমর্থক ছলেমান কাজী মেম্বর গট্টি বাসস্ট্যান্ডে এলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মারপিট করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আজিত মোল্যার সমর্থকরা হামলা করে রফিক মাতুব্বর, তার সমর্থক বাচ্চু মোল্যা, বিল্লাল মাতুব্বর, টুকু মীর, আলী মাতুব্বর ও আফতাব মাতুব্বরের বাড়ীতে হামলা করে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী সিংহপ্রতাপ গ্রামে রফিক মাতুব্বরের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের ২০টি বসত বাড়ীতে হামলা করে ভাঙচুর করে। এ সময় রফিক মাতুব্বরের সমর্থকদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হলো আজিত মোল্যা, ওবায়দুর মাতুব্বর, সোরাপ মোল্যা, কওছার মাতুব্বর, কোবাত মাতুব্বর, জাহিদুল মাতুব্বর, ইমান মোল্যা, সিরাজ মোল্যা, জিয়া মাতুব্বর, আতিক মাতুব্বর, মজিবর মৃধা ও বরকত মৃধা। এ সময় সিংহপ্রতাপ বাজারের ইউসুফ শিকদারের মুদী দোকান ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষ।
গুরুতর আহত আলম মৃধা, দাউদ মৃধা, কোবাদ খালাসী, সুমন মাতুব্বর, সুরুজ খালাসী, মিরাজ শিকদার, সুজাত বেপারী ও রুহুল মুন্সীকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এবং কামাল মৃধা, সুজাত খালাসী ও বাছের মোল্যাকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ জেলা রিজার্ভ পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে সালথা থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।