পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো: শামসুল আলম খান : হজ ব্যবস্থাপনায় অতীতের তিনটি সাফল্যের রেকর্ড এবারো ধরে রাখার টার্গেট নিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ও প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক অনিয়ম-দুর্নীতির রাহুমুক্ত ও দুর্ভোগ নিরসনের মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ধরে রাখতে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন তিনি। তার সময়ে সুষ্ঠুভাবে হজ পালন সম্পন্ন হওয়ায় বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে। সরকারের এ সাফল্য সউদী সরকারও প্রশংসা করেছেন।
সেক্ষেত্রে যাতে কোন ব্যত্যয় না ঘটে এবং এবারো যেন সেই সুনাম অব্যাহত থাকে যারপরনাই সতর্ক মন্ত্রী।
ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে হজের প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান বলছেন, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় এবার হজের প্রাক নিবন্ধন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের মানুষের আয় বাড়ছে।
একই সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে হজ পালনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনিয়মের ঘটনা না ঘটায় এবারো সরকারি-বেসরকারি মিলে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ১০ হাজার। আর গত বছরের প্রাক নিবন্ধিত হজযাত্রী রয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৯৪ জন।
গতকাল শহরের নাটকগোর্লেন রোডস্থ নিজ বাসভবনে ইনকিলাবের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপকালে নিজের এ টার্গেটের কথা জানান ধর্মমন্ত্রী। ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো লেনদেনে নিজ মন্ত্রণালয়ের যুগান্তকারী উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, হজকে নিরঙ্কুশ ও প্রশ্নাতীত করার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সউদী সরকার ই-হজ ব্যবস্থা চালু করার পর আমরাও তাল মিলিয়ে সমন্বয় করেই হজ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করেছি। এর মাধ্যমে হজ যাত্রীদের ভোগান্তি এবং হয়রানির অবসান হয়েছে।
প্রথমবারের মতো হজ এজেন্সীর তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে ধর্মমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই দুই ধাপে হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯১ টি হজ এজেন্সীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় মিডিয়াতেও বিজ্ঞাপন দিয়ে তালিকার নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
হজ ব্যবস্থাপনায় কোন প্রকার অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না জানিয়ে প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান বলেন, এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম দেখা গেলে দায়ী ব্যক্তি, এজেন্সি, কর্মকর্তা বা কর্মচারী যেই হোন না কেন, তাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হজ ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীরা হচ্ছেন আল্লাহর মেহমান। তাদের দেখভালের দায়িত্বটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে অবশ্যই বাংলাদেশ ও সউদী সরকারের নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।
এবার প্রতিটি এজেন্সী দেড়শ’র বেশি হাজী রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেনি। কোন প্রেক্ষাপটে এটা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেন, এজেন্সীগুলোর মাঝে অসম প্রতিযোগিতা ও অবৈধ কর্মকা- বন্ধের জন্যই মূলত এ নিয়ম করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি এজেন্সীকে কমপক্ষে ১৫০ জনের প্রাক-নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়।
সরকারিভাবে হজব্রত পালনে ইচ্ছুকদের তালিকা কোন মানদ-ের ভিত্তিতে করা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারিভাবে যারা হজ পালন করেন তাদের তালিকা ও ব্যয়ভার ধর্মমন্ত্রণালয় থেকে করা হয়। এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোটা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তার ওপর ভিত্তি করেই ধর্মমন্ত্রণালয় সরকারি হজ তালিকা প্রণয়ন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।