Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারি ৮৬টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে

সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে দেশের ৮৬টি ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এরমধ্যে অ্যালোপেথিক ৩২টি, ইউনানী ১৬টি আয়ুর্বেদিক ২৩টি এবং হোমিওপ্যাথিক ১৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিন বছরে সিজিরিয়ান অপারেশন বেড়েছে আট ভাগ
সরকারদলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী  জানান, দেশে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালে মোট তিন বছরে দেশে সিজিরিয়ান অপারেশনের হার শতকরা আট ভাগ বেড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১১ অনুসারে সিজারিয়ান অপারেশনের হার ছিল শতকরা ১৫ ভাগ। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১৪ অনুসারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার শতকরা ২৩ ভাগ।
সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে তুলনামূলক সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার অনেক বেশি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালে প্রসবসেবা বাড়ানোর মাধ্যমে বেসরকারি হাসাপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের হার কমানোর লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারি হাসপাতালে প্রসবসেবা কার্যক্রম বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রায় ৯ হাজার ৫৯৮ জন নার্স নিয়োগ দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়ন করা হয়েছে। এ সকল নার্স প্রসূতি মায়েদের প্রসবপূর্ব সেবা, স্বাভাবিক প্রসবসেবা ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখছে। এর ফলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক প্রসবের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালে ৫৯৭ জন মিডওয়াইফারি পদায়ন করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রসূতি মায়েদের প্রসবপূর্ব সেবা স্বাভাবিক প্রসবসেবা ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সকল প্রসূতি মায়ের প্রসবকালীন সময় মনিটরিং চার্ট পূরণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যা সঠিকভাবে পূরণ ও অনুসরণ করলে কেবল জটিল প্রসূতি মায়েদের সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালগুলোতে জটিল বা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভের অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব কারানোর জন্য দক্ষ চিকিৎসক পদায়ন চলমান আছে। এসব চিকিৎসক কেবলমাত্র যৌক্তিকতা বিবেচনা করে সিজারিয়ান অপারেশন করে থাকেন। বেসরকারি হাসপাতালোর বিরুদ্ধে প্রসূতিসেবা বাণিজ্যের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ