পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশেষ প্রেক্ষাপটে বিয়ের বয়সসীমা শিথিল করে আইনে সংশোধন সরকারের প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে অভিযোগ করে তা বাতিলের দাবিও জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, সংসদে পাস হওয়া ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ বাংলাদেশের সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। আমরা মনে করি, পূর্বের আইন অনুযায়ী মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর বয়সসীমা সঠিক ছিল। এখানে কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপট বিধির প্রয়োজন ছিল না। দেশের মানুষ মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ ও ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর বিবাহের ন্যূনতম বয়স মেনে নিয়েছিল। এই আইন পাস করার মধ্য দিয়ে সরকার তার প্রতিক্রিয়াশীল চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটাল। আমরা এই আইনের নিন্দা জানাচ্ছি এবং আইন সংশোধন করে বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড়ের যে বিধি তা বাতিল করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ পাস হয়। এই আইন পাস হওয়ায় মেয়ে ও ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আগের মতো ১৮ ও ২১ বছর বহাল থাকলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ তার কম বয়সেও বিয়ের সুযোগ তৈরি হলো।
দেশের নারী সংগঠনগুলোর পাশাপাশি হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিলটি পাস না করতে বাংলাদেশের আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল।
দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আইন বাংলাদেশের সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। বিএনপি মনে করেÑ গত কয়েক দশক যাবৎ, বিশেষ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পরে শিশু ও নারী অধিকারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সেই অগ্রগতিকে বাধা সৃষ্টি করতে এই আইন। বাল্য বিবাহ বাংলাদেশের সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।