পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে রেল মন্ত্রণালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস গ্লোবাল কোম্পানী লিমিটেড। এরা অন্য কয়েকটি কোম্পানীর সাথে যৌথভাবে পরামর্শকের কাজ করবে। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কাজী মো: রফিকুল আলম এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রায়োহেই ইশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রেলভবনে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, যমুনা নদীর উপর নতুন রেলসেতু নির্মাণ খুবই জরুরী। এই সেতু নির্মিত হলে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলসহ সমগ্র দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আরও নতুন ট্রেন চালানো যাবে, অতিরিক্ত মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে। ফলে সেতুটি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে। রেলমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার সারা দেশের রেল যোগাযোগ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। কোচ আনা হচ্ছে। সবকিছুর উদ্দেশ্য যাত্রীদের সেবা বাড়ানো। আগামী দু’বছরের মধ্যে রেলের অনেক প্রকল্প শেষ হলে যাত্রীদের অধিক হারে সেবা দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প গত বছরের ৬ ডিসেম্বর একনেক সভায় মোট ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮০ কিঃ মিঃ ডুয়েল গেজ ডাবল রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হবে। সেই সাথে সেতুর উভয় প্রান্তে ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব’ ও ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম’ স্টেশন পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন করা হবে এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থার মডিফিকেশন করা হবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে মোট ৭৪৭ দশমিক ৫৮ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাইকার অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর উভয় দিকে ভায়াডাক্ট থাকবে ৫৮০ মিটার। যমুনা ইকোপার্কের পাশ দিয়ে এটি বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম অংশের রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। এজন্য ৩ দশমিক ১২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি তিনটি স্টেশন বিল্ডিং, তিনটি প্লাটফর্ম ও শেড, তিনটি লেভেল ক্রসিং গেইট ও ছয়টি কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। আর রেল সেতুর পূর্ব পাশে লুপ লাইনসহ প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার, ১৩টি কালভার্ট ও দুটি সংযোগ স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া ৬ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের সময় নদীশাসন করায় এ খাতে এখন আর ব্যয় হবে না।
সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু রেল সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। এছাড়া কনটেইনার ট্রেন চলবে ৮০ কিলোমিটার গতিতে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার গতিতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। আর পণ্যবাহী ও কনটেইনারবাহী ট্রেন চলাচল নিষিদ্ধ। গতি বাড়ায় নতুন সেতু দিয়ে দৈনিক ৬০ শতাংশ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বাড়ানো যাবে। আর পণ্য পরিবহন বাড়ানো যাবে ১৬০ শতাংশ। ফলে দৈনিক মালবাহী ট্রেনে সাড়ে ৩২ টন মালামাল পরিবহন করা যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতা, জাপানি দূতাবাসের প্রথম সচিব তোশিউকি নগোচি, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।