পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাডুর ব্যবসায়ীরা সেখানে কোকাকোলা ও পেপসি বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। স্থানীয় পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের শীর্ষ দু’টি ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন এই দুটি পানীয় নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে গতকাল বুধবার থেকে তামিলনাডু রাজ্যে কোকাকোলা ও পেপসি নিষিদ্ধ হলো।
প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, কোমল পানীয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো নদী থেকে প্রচুর পানি ব্যবহার করে, সেকারণে কৃষকদের জমি সেচের সময়ও ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে খরার সময় সেচে পানি সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। রাজ্যের দশ লাখেরও বেশি দোকানদার এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসে তামিলনাডুতে ‘জাল্লিকাটু’ নামে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের ঘটনা দেখে রাজ্যে পেপসি, কোকাকোলা নিষিদ্ধের প্রস্তাব করে দু’টি শীর্ষ ব্যবসায় সংগঠন ফেডারেশন অব তামিলনাড়– ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফটিএনটিএ) ও তামিলনাড়– ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ব্যবসায়ী থা ভেলায়ান বলেন, ‘পেপসি ও কোকাকোলার মতো পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল থাকে এবং এসব পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে। আমরা ভারতীয় কোমল পানীয়ের প্রচার চালাচ্ছি এবং ফলের জুসের বিক্রি যেন আরও বাড়ে সেই চেষ্টাও আমরা চালাব’।
স্থানীয় ব্যবসা ও কৃষকদের উন্নতির কথা ভেবে সুপারমার্কেট, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলগুলো যেন এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে সেই আহŸানও জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনগুলো। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেপসি ও কোকাকোলা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।