Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৩ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬১৮ জনকে শাস্তি

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৯ পিএম, ১ মার্চ, ২০১৭

জঙ্গিবাদের পথ পরিহার করলে আইনি সহায়তা
স্টাফ রিপোর্টার : সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত (৩ বছর) ৯৫ হাজার ৫৭৯টি মামলার মাধ্যমে মোট ৮ কোটি ৪৯ লাখ ২৬ হাজার ৯১২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সময় এক হাজার ৬১৮ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ প্রদান এবং ৪ হাজার ৪৮টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত নরসিংদী-২ আসনের এমপি কামরুল আশরাফ খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
দেশের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বর্তমান সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, সমীক্ষার মাধ্যমে মোট ২২৭টি দুর্ঘটনাপ্রবণ (বø্যাক স্পট) স্থান চি‎িহ্নত করা হয়েছে। তন্মধ্যে ২৭টি স্পটের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগের কথা জানান তিনি।
জঙ্গিবাদের পথ পরিহার করলে পুনর্বাসন
সরকার দলীয় এমপি কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিরা জঙ্গিবাদের পথ পরিহার করলে আইনি সহায়তা দেয়া হবে। পাশাপাশি জঙ্গিদের পুনর্বাসন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির  দেশ। এদেশের মানুষ সা¤প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে।  দেশের মানুষের সুষম উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাস, সা¤প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ হুমকিস্বরূপ। সরকার জঙ্গিবাদ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ জন্য জঙ্গি দমনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনলাইনভিত্তিক প্রচারণার দিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি আরো বৃদ্ধি করা হবে। জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদী মতাদর্শের র‌্যাডিক্যালাইজেশন না ঘটে  সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাÐ তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলার জন্য একটি যুগোপযোগী স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতে  যেসব বিপথগামী জঙ্গি সদস্য জঙ্গিবাদের পথ থেকে ফিরে আসবে তাদের আইনি সহায়তা দেয়াসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডিজিটাল তদারকির আওতাভুক্ত হবে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
সরকার দলীয় এমপি মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনারোধে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিআরইএন)-এর আওতায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল তদারকি সিস্টেমের আওতাভুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সাথে যৌথ অর্থায়নে ২ হাজার ৫৪ কোটি টাকার ‘উচ্চ শিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প’ (হেকেপ) বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন ও বহির্বিশ্বের শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্কের সাথে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিআরইএন) স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির সাথে ২০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় সারাদেশে ৩ হাজার কিলোমিটার ওভারহেড অপটিক্যাল গ্রাউন্ড ওয়্যার (ওপিজিডবিøউ) নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর বাইরে সংযুক্ত করার জন্য ৩০৩ কিলোমিটার ৪২টি পয়েন্ট টু পয়েন্ট অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।
এ প্রকল্পের আওতায় ৩৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ক্যাম্পাসে অবস্থান করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত লেকচার ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে পারছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বিডিআরইএন ট্রান্স এশিয়ান এডুকেশন নেটওয়ার্ক (টিএইএন-১১) এবং এ জাতীয় অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত তাই বিশ্ব জ্ঞানভাÐান্ডডরোর দরজা আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিকট উন্মুক্ত হয়েছে। তিনি জানান, বিডিআরইএন-এর মাধ্যমে পাইলট ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সিসি ক্যামেরা ও এক্সেস কন্ট্রোল ডিভাইস স্থাপন করা হচ্ছে। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনারোধে এ ব্যবস্থা কার্যকর প্রমাণিত হলে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ