Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

১৫ ব্যাংকের সীমাতিরিক্ত স্প্রেড

শীর্ষে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঋণ ও আমানতের সুদ ব্যবধানের (স্প্রেড) সীমা লংঘন করেছে দেশী-বিদেশী ১৫টি ব্যাংক। আর এই সীমা লঙ্ঘনে সবার শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক। এর পরেই রয়েছে বিদেশী খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে কোনো ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদ হারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। জানা গেছে, সুলভ বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ঋণের সুদহার এক অঙ্কের ঘরে নামানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি অনুযায়ী, ঋণের সুদহার কমাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ওপর বিভিন্ন সময়ে চাপ সৃষ্টি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে কয়েক মাস আগে ‘স্প্রেডকে’ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে যেসব ব্যাংকের স্প্রেড সীমা অতিক্রম করবে তাদের ক্যামেলস রেটিং  নেতিবাচক হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নির্ধারিত সীমার বাইরে থাকা ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে স্প্রেড কমানোর দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৪ ব্যাংককে ৩০ সেপ্টেম্বর, ৬ ব্যাংককে ৩০ অক্টোবর, এক ব্যাংককে ৩০ নভেম্বর ও দুটি ব্যাংকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পার হলেও এখনও ১৫টি ব্যাংকের স্প্রেড বেশি মাত্রায় রয়েছে। তবে সার্বিকভাবে আমানতের সুদের পাশাপাশি ঋণের সুদহার কমতে থাকায় ব্যাংকিং খাতে জানুয়ারি শেষে গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। আগের মাস ডিসেম্বরে যা ছিল ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ মাসে ঋণের গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ মাসে আমানতের গড় সুদ দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। যা অক্টোবর মাসে ছিল ৫ দশমিক ২২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে রূপালী ব্যাংক, ব্র্যাক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি গেøাবাল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, সিটি ব্যাংক এনএ, উরি ব্যাংক ও এইচএসবিসির স্প্রেড নির্ধারিত সীমার বাইরে রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ স্প্রেড রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের স্প্রেড ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এছাড়া রূপালী ব্যাংকের ৫ দশমিক ২৫, আইএফআইসি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৮০, উত্তরা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৫৪, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫ দশমিক ১৩, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৫ দশমিক ৪২, এনআরবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ১৫, এনআরবি গেøাবাল ব্যাংকের ৫ দশমিক ০১, উরি ব্যাংকের ৫ দশমিক ১৭, এইচএসবিসির ৫ দশমিক ৮০, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৬ দশমিক ০৭ ও সিটি ব্যাংক এনএর ৫ দশমিক ২২ শতাংশ স্প্রেড রয়েছে।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি স্প্রেড রয়েছে বিদেশী খাতের ব্যাংকগুলোর। আর সবচেয়ে কম স্প্রেড রয়েছে বিশেষায়িত খাতের ব্যাংকগুলোর। এ মাসে বিদেশী খাতের ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এছাড়া এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ৪ দশমিক ৭ শতাংশ ও বিশেষায়িত খাতের ব্যাংকগুলোর ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ স্প্রেড রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ