পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, রাষ্ট্র যদি মোরালিটি (নৈতিকতা) বজায় না রাখে, তাহলে সেই দেশে কোনোদিন শান্তি আসবে না।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বাসন্তী উৎসব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্র যদি মোরালিটি (নৈতিকতা) বজায় না রাখে, তাহলে সেই দেশে কোনোদিন শান্তি আসবে না। পৃথিবীতে শান্তি আসবে নাÑ কোনো প্রান্তে যদি, কোনো দেশে যদি অশান্তি থাকে, এটা ছড়িয়ে পড়বে পার্শ্ববর্তী দেশে। তাই রাষ্ট্রকে আইন প্রণয়ন করে, শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে তা মেনে চলতে হবে। এরপর বলতে হবেÑ আমি (রাষ্ট্র) আইন মানব, আপনারা (জনগণ) আইন মানেন, আইনে চলেন। রাষ্ট্র আইন না মেনে যদি বলে আপনারা মানেন, তাহলে সেই রাষ্ট্র কোনোমতেই চলবে না।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, আইন এবং মোরালিটি দুই জিনিস। বিচারকরা অনেক সময় আইনটাকে পাশ কেটে মোরালিটির দিকে ধাবিত হয়। আমরা কিন্তু মোরালিটির দিকে কোনোমতেই কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারি না। যত খারাপ ঘটনাই ঘটুক, আইন যে কথা বলে, সেই কথায় আমরা বিচারকরা বলব। এর মধ্যে এমন কিছু ঘটনা আছে যেগুলো মোরাল এথিকসের বাইরে। কিন্তু আইন এটাকে বেআইনি বলছে না। আমরা কিন্তু এটাই রায় দেবো।
আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কতদূর হলো, এটা রক্ষা করতে হবে। আগে বার কাউন্সিল বেশ ভালো ভ‚মিকা রেখেছিল। কোর্ট কেবল আসামিদের জামিন আর দেওয়ানি মামলায় ইনজাকশন নিয়ে থাকলে পুরো জুডিশিয়ারির কোনোটাই টিকবে না, কোনোটাই থাকবে না। একদিন সব মিলিয়ে যাবে।
আইনজীবীদের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের বিচার বিভাগে কিছু অসঙ্গতি আছে। এটার জন্য অনেকাংশে দায়ী আইনজীবীরা। আমরা বিচার করি। আপনাদের মতো বিজ্ঞ আইনজীবীরা আছেন, যারা আইনের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। অনেক দিন ধরে খেয়াল করছি, আজকে এ ধরনের ব্যাখ্যা দেয়ার মতো খুব কম আইনজীবী পাই। যার পরিপ্রেক্ষিতে আইনের ব্যাখ্যা ও সিদ্ধান্ত বিচারকরা নিজেরা লেখাপড়া করে দিই। এতে ত্রæটি থেকে যায়। আপনারা যদি অবদান না রাখেন, শুধু জামিন অথবা অন্য কোনো জিনিসের প্রতি চিন্তা করেন, তাহলে কিন্তু যে আদর্শের ওপর ভিত্তি করে মহান আইন পেশা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, সেটা বিলীন হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম ফয়েজ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ খোকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি এম আর হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক এস এম মুনীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।