পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংযুক্ত আরব আমিরাতে শিগগিরই কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদিশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি উম্মে রাজিয়া কাজলের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী কর্মী প্রেরণের বিষয়ে গত বছরের ১৭ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরকালে দ্বিপাক্ষিক শ্রম বাজার উন্মুক্ত করার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। আশা করা যায় শিগগিরই সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী প্রেরণ শুরু হবে।
তিনি বলেন, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলসহ মোট ৫০টি নতুন শ্রম বাজার সম্পর্কে গবেষণা সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুনভাবে রাশিয়া ও থাইল্যান্ডে কর্মী প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাশিয়ায় কর্মী প্রেরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ চলমান আছে। এ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে রাশিয়ায় আরো কর্মী প্রেরণ ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রম বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের সফল শ্রম কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে ২০০৮ সালে বন্ধ হওয়া মালোয়েশিয়ার শ্রমবাজার জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে চালু হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার সঙ্গে জিটুজি প্লাস নামে আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় কর্মী প্রেরণের বিষয়টি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বেশী। বাংলাদেশ হতে বৈধভাবে ইউরোপ মহাদেশের কয়েকটি দেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধিকহারে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব নিরসনের লক্ষ্যে কর্মী গ্রহণকারী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ বৃদ্ধির বিষয়ে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মো. শওকত চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বের ১৬২টি দেশে ১ কোটিরও বেশী বাংলাদেশী কর্মী কর্মরত আছে। বিদেশে যেসব কর্মী অবৈধভাবে আছে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে বৈধকরণ, আইনি সহায়তা প্রদান এবং দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বর্তমান সরকারের সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সউদী আরবে প্রায় ৮ লাখ, মালয়েশিয়ায় ২ লাখ এবং ইরাকে ১০ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকের বৈধতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।