Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : বানানে ভুলের ছড়াছড়ি

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভাষার জন্য আমাদের ত্যাগ আবিশ্ব উদাহরণ। ভাবতেই বেশ পুলক জাগে মনে- নিজের ভাষাকে আমরা কতোটা ভালোবাসি! কিন্তু সে আত্মতৃপ্তিকে আঁতুরঘরেই মুখে নুন ঢেলে বধ করে কতিপয় সুবিধাভোগী-উদ্ধত-মূর্খ লোক। বাসে করে ফার্মগেট থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ঢুকতেই দৃষ্টি যখন আমাদেও শ্লাঘার বিশ্বনন্দিত স্থাপত্যকীর্তি সংসদ ভবন ছুঁই ছুঁই করতে থাকে, ঠিক তখনই প্রবেশ মুখের গোল চত্বরে দৃষ্টিতে বিষ ছুড়ে দেয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাশে ম্যুরালে লেখা বানান ভুলের নগ্ন প্রদর্শন ‘বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর’।
সরকারি-বেসরকারি সাইনবোর্ড এবং এই ধরনের সব রকমের পরিচয়জ্ঞাপক লেখার পেছনে কত শত শত কোটি টাকার মচ্ছব চলে তার কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই আমার। চুনোপুঁটি তো! কিন্তু সেইসব কপট-বাণিজ্যের উগরানো ভাষা-ত্রুটি আমার মতো দেশ নিয়ে, ভাষা নিয়ে গর্ব করা দেশবাসীকে যে দুঃখ ও খেদের হেমলক গেলায় তাতে বোধ করি কোনো সন্দেহ নেই। কর্তাব্যক্তিরা এসব লেখার কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শেষে বিল পরিশোধপত্রে সই করেই খালাস। কী লিখতে দেওয়া হয়েছিল আর কী লেখা হলো সেসব নজরদারির কোনো তোয়াক্কা করেন না কেউ। আমার ধারণা-যাঁরা এসব লেখার সঙ্গে জড়িত, হাতের কাছে বাংলা অভিধান থাকা সত্ত্বেও তাঁরা তা ছুঁয়েও দেখেন না।
শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি ফাইল খুব মন দিয়ে পড়েন এবং বানান ভুল পেলে ভর্ৎসনা করেন। তাঁরও কি নজর পড়ে না পিতার নামের পাশে এমন বানান ভুল।
মনজুর শামস
৬৬, আরকে মিশন রোড, গোপীবাগ, ঢাকা-১২০৩।


বাংলাভাষার মর্যাদার স্বার্থেই বাংলায় বক্তব্য দেওয়া উচিত
ফেব্রুয়ারি মাস চলছে। এ মাসে সভা-সমিতি করে অনেকেই গালভরা বুলি আওড়ান বাংলা প্রাণের ভাষা, মায়ের ভাষা ইত্যাদি আরো কত কথা। যারা এই ফেব্রুয়ারি মাসে এমন কথা বলেন, তাঁদের অনেককেই দেখা যায় সভা-সেমিনারে ইংরেজিতে কথা বলতে। টিভিতে দেখা যায়- কোনো সেমিনার হচ্ছে, বক্তা সবাই বাঙালি অথচ বক্তব্য দিচ্ছেন ইংরেজিতে, কেন? যত রকমের সভা, সেমিনার হোক না কেন, বক্তব্য দেওয়া উচিত বাংলায়। যতদূর জানি, উচ্চ আদালতে মামলার রায় লেখা হয় ইংরেজিতে। অথচ যিনি রায় লেখেন তিনি তো বাঙালি। সর্বস্তরে বাংলা প্রচলন আজো হয়নি দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই সবাই বাঙালি হয়ে যায়। এই মাস চলে গেলে বাঙালিত্ব আর থাকে না। তাই সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন এই যে, সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও প্রচলন করে বাঙালির আত্মমর্যাদা রক্ষার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
কাজী নজরুল ইসলাম
১৯৮, ফরাজীকান্দা, ওয়ার্ড ২০, নারায়ণগঞ্জ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন