পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক রিপোর্টার : চলতি সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি উইলিয়াম টড। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনও কর্মকর্তার এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
উইলিয়াম টডের বাংলাদেশ সফরের সত্যতা নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘তিনি খুব শিগগিরি ঢাকা আসছেন। উইলিয়াম টডের সফর নিয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে’।
গতকাল পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর একথা জানান বার্নিকাট। এ সফরে সন্ত্রাসবাদ, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে উইলিয়াম টডের।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘উইলিয়াম টড প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।’
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বার্নিকাট বলেন, ‘সাধারণত ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে-সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন হয় না। যারা আগে আমাদের বন্ধু ছিল, তারা এখনও আমাদের বন্ধু। আমাদের মূল্যবোধের পরিবর্তন হয়নি, আর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ও অপরিবর্তিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নীতি পরিবর্তন করতে পারে এমন কথা আমি চিন্তাই করতে পারি না’।
শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস (সংসদ) এর এখতিয়ার। আমি সবসময় বলি, বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পাবে। কিন্তু তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে’।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্পের পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে এবং বাংলাদেশ এটি বাস্তবায়ন করবে বলে অঙ্গীকার করে।
এ প্রসঙ্গে বার্নিকাট বলেন, ‘সাব সাহারান এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কারণ তাদের উৎপাদন ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল’।
বাংলাদেশ কখনও এ সুবিধা পেতে পারে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ অবশ্যই আলোচনায় যোগ দিতে পারে। এমনও হতে পারে, বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে নয়, দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার অধীনে বাংলাদেশ এ সুবিধা পাবে’।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশি পণ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের দাবি পুনরায় জানিয়েছে সরকার। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমরা শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চাই। এ কথা আমি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় একক বাজার। আমরা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চাই এবং এ সুবিধা পেলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরো বাড়বে’।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধার আওতায় প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করলেও ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এ সুবিধা বাতিল করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।