Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব গেছে, সিদ্ধান্ত নেবে বিইআরসি

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এই মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম কমাতে আরও ৫ বছর সময় লাগবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্যুতের যে মেগা প্রকল্পগুলো তার কাজ এখনও শুরু হয়নি, সেসব কাজ শুরু হলে বিদ্যুতের এই দাম কমে আসবে।
০১ মার্চ আটটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও থানচি উপজেলায় নতুন বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। ১৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ১০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সেচ মৌসুমে লোডশেডিং হবে কিনা জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, সেচ মৌসুমের শুরুতে বিদ্যুতের একটু সমস্যা হতো, তবে এবার আর হবে না। সর্বোপরি বিদ্যুতের অবস্থা ভালো।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন, বিদ্যুতের মূল্য কবে বাড়বে, এমন প্রশ্নেœর জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন তাদের ওপর বিষয়টি নির্ভর করবে।
বিদ্যুৎ খাতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে কাজ করে যাচ্ছি। বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দুই-তিন বছর পরে এলএনজি নির্ভর বিদ্যুৎ আসবে। আর এলপিজি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপারে চুক্তি করা নিয়ে আলোচনা চলছে।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গত ৮ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন কর্মকা- এগিয়ে চলছে। ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও থানচি উপজেলায় নতুন বিদ্যুতায়নের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন তিনি, এর মধ্যে ৫টি বেসরকারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার মাইফলক অতিক্রম করেছি। ২০২১ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎ-এর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছি। দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় রয়েছে। বাকি জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। আগামীকাল আরও ১০টি যোগ হবে। আশা রাখছি, ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে ৪৬০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে।
বুধবার ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী সেগুলো হচ্ছেÑ শাহজীবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ ৪৫০, খুলনা ১৫০,  মানিকগঞ্জ ৫৫, নবাবগঞ্জ ৫৫, নারায়ণগঞ্জ ৫৫, জামালগঞ্জ ৯৫ এবং বরিশালের ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
এছাড়াও যে দশ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে তাহলো, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, সাভার, মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর, চট্টগ্রামের কর্ণফুলি, ফেনীর দাগনভুইয়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, মেহেরপুরের মুজিবনগর এবং রংপুরের সৈয়দপুর।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পিডিবি’র চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুত

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
১০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ