Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কঠোরতর কর্মসূচি দিয়ে গ্রিক দেবীমূর্তি অপসারণে বাধ্য করা হবে-ইসলামী ঐক্যজোট

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সুুুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণের দাবিতে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন, প্রাচীন গ্রিক ধর্ম বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি মৃত ধর্ম। বাংলাদেশে তো নয়ই, বরং ভারতীয় উপমহাদেশেও গ্রিক ধর্ম চর্চার কোনো ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না।
অত্র অঞ্চলের কোনো অমুসলিম দেশেও গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন ও ন্যায়বিচারের প্রতীক জ্ঞানের নজির নেই। সে ক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মতো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হলো? তিনি অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূূর্তি অপসারণের আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি দিয়ে ঈমান রক্ষায় মূর্তি অপসারণে বাধ্য করা হবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, যারা  দেবীর মূর্তির পক্ষে তাদের হাশর হবে মূর্তির সাথে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্র্তির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় রাশেদ খান মেনন ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর অপসারণের দাবি জানান। তিনি বলেন, ইনসাফ, ন্যায়বিচার ইসলামের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মূর্তি কখনো ন্যায়বিচারের প্রতীক হতে পারে না। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে, বাংলাদেশ থেকে মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী পরিচিতি মুছে বিজাতীয় মতবাদ ও ভোগবাদিতা চাপিয়ে দিতে পৌত্তলিক সংস্কৃতির আগ্রাসনের অংশ হিসেবে  স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী মানসিকতা থেকে একটি অশুভ চক্র রাতের আঁধারে দেশের ওপর দেবীর মূর্তি চাপিয়ে দিয়েছে। এ  দেবীর মূর্তি থেকে মানুষ পথভ্রষ্টতার অনুপ্রেরণা পাবে, শিরকের ছবক পাবে, পাবে জাহান্নামের পথ।
সমাবেশে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও  কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক মূর্তি অপসারণ করে আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ পবিত্র কুরআনের ম্যুরাল নির্মাণ অথবা রাসূল (সা:)-এর নাম লিপিবদ্ধ করুন। অন্য বক্তারা বলেন, গণপ্রজাতান্ত্রিক শাসনে মানুষের প্রতিবাদ জানানোর ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিয়ে মূর্তি অপসারণের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে মূর্তি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।  
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, অধ্যাপক মাওলানা এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ