Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈদ্যুতিক গম্বুজের যুগে বাংলাদেশের মসজিদ

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সংবাদদাতা : মনোরম সাজ আর দৃষ্টিনন্দন এক মসজিদ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী শুক্রবার। জুমার নামাজের মাধ্যমে মসজিদটি উদ্বোধন করবেন দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দীন মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমীর আল্লামা মাহমুদুল হাসান। এ উপলক্ষে এক ইজতেমারও আয়োজন করা হয়েছে। যাতে কয়েক লক্ষ মানুষ সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলার চরখরিচা গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক এ মসজিদটি। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন বলে মনে করা হচ্ছে। মসজিদটি মসজিদে নববীর আদলে তৈরি। বৈদ্যুতিক গম্বুজবিশিষ্ট। সুইচ অন করলেই সরে যাবে গম্বুজ এবং মসজিদের ভেতর থেকে দেখা যাবে পুরো আকাশ।
মনোরম, দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে মদিনা মসজিদ। এটি ময়মনসিংহ জেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চরখরিচা গ্রামের সবুজ ছায়াঘেরা পরিবেশে নির্মিত হয়েছে। দূর থেকে দেখলে সহজেই মানুষের দৃষ্টি কাড়বে। এলাকাবাসীর ধারণা, সৌন্দর্য ও নান্দনিকতায় মসজিদটি ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেবে সহজেই।
২০১১ সালে মসজিদটির নির্মাণ শুরু হয়। ৪ তলাবিশিষ্ট ১৯৭০৬ স্কয়ার ফিট জায়গার মসজিদটির কাতার সংখ্যা ১৯। প্রতিটি কাতারে মানুষ ধরবে ১১০ জন। মসজিদের পাঁচটি গম্বুজ রয়েছে। চারটি স্থির এবং একটি বৈদ্যুতিক গম্বুজ। সুউচ্চ মিনার রয়েছে দুটি। যার উচ্চতা চারতলার উপর থেকে ১৬০ ফিট। মসজিদটির পুরো কাজ হয়েছে মারবেল পাথরে এবং কাঠ আনা হয়েছে মিয়ানমার থেকে।
মুসল্লিদের উঠানামার জন্য একটি চলন্তসহ মোট পাঁচটি সিঁড়ি রয়েছে। ছোটবড় মিলিয়ে মোট ছয়টি দরজা রয়েছে।
বিশাল আয়তনের দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ’ কোটি টাকা।   
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম উপস্থিত থাকবেন। তারা ধারণা করছেন, অনুষ্ঠানে দুই লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এতে অংশ নেবেন।
অনন্য দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির উদ্যোক্তা মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমীর, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান। তার জন্মস্থান চরখরিচার নিজবাড়ির সামনেই গড়ে উঠছে মসজিদটি। কৃতিত্বের অংশীদার এ মসজিদ সম্পর্কে জানতে চাইলে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, মসজিদ মহান রাব্বুল আলামিনের ঘর। আমরা দিনে পাঁচবার তার ঘরে যাই। তার কাছে নত হয়ে ইবাদতে মশগুল থাকি। দুনিয়াতে আমরা আমাদের ঘরগুলোকে সুন্দর করতে ব্যস্ত। অথচ আল্লাহর ঘরকে সুন্দর করার দিকে মনযোগী হই না। আল্লাহপ্রেম ও আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালোবাসা থাকতে হবে বেহিসেবি। সেই মহব্বত ও ভালোবাসা থেকেই আল্লাহর ঘর নির্মাণের উদ্যোগ আল্লাহ আমার মাধ্যমে শুরু করিয়েছেন। এর পেছনে অগণিত মুসলমান ধর্মপ্রাণ মানুষের শ্রম ও ঘাম রয়েছে।



 

Show all comments
  • silk ১ মার্চ, ২০১৭, ২:৪৯ এএম says : 0
    সর্বোত্তম মহামানব (দঃ) বলেছেন, এমন সময় আসবে যখন মসজিদ হবে শুশোভিত প্রাসাদোপম, এতো ভীড় হবে যে স্থান সংকুলান হবে না - অথচ সেখানে হেদায়েত থাকবে না আর আসমানের নিচে সর্ববনিকৃষ্ট হবে আমার নামধারী উম্মতের স্বঘোষিত আলেম।
    Total Reply(0) Reply
  • shihab ahmed ১ মার্চ, ২০১৭, ৩:২৯ এএম says : 0
    Beautification of mosque is good, but purification of heart and deeds are more important. Both must go side by side.
    Total Reply(0) Reply
  • Rayhan Titu ১ মার্চ, ২০১৭, ১০:১২ এএম says : 0
    ভালো খবর
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ