Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে অচল সারাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ২:১৭ পিএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অনির্দিষ্টকালের ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে সারাদেশ। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন শ্রমিক ফেডারেশনের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবহন মালিক সমিতি।

গতকাল সোমবার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বাস ও মিনিবাস চলাচলের ঘোষণা দেয়া হলেও কার্যত তা হয়নি। আজ সকাল থেকে সারাদেশের সড়কপথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, ফুলবাড়িয়া ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ আছে। অন্যদিকে, ঢাকার বাইরে থেকেও কোনো বাস রাজধানীতে আসেনি। পরিবহন মালিকরা জানান আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছাড়েনি। তবে সকালে ঢাকায় কিছু সিটি সার্ভিস চলাচল করলেও বেলা ১১টার পর সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকার চারটি টার্মিনালে আটকা পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি কাউন্টারে অসংখ্য যাত্রী অপেক্ষা করছেন। বাস না ছাড়ায় তাদের দুর্ভোগ চরমে।

শফিক নামের এক যাত্রী বলেন, সিলেটে যেতে হবে। এক ঘণ্টা ধরে বসে আছি। কোনও বাস ছাড়ছে না। আল মোবারকা পরিবহন বাস কাউন্টারের কর্মী নাসির বলেন, নেতাদের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনও বাস ছাড়বো না। তবে সকালে কয়েকটি বাস ঢাকা ছেড়ে গেছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীর সহ পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জ আদালত। এই রায়ের প্রতিবাদে রবিবার থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় রবিবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ২দিন পালন শেষে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশব্যাপী ধর্মঘট আহবানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বক্স দুদু বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গাবতলী টার্মিনাল থেকে মুকুল নামে এক যাত্রী জানান, বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ভোরে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। গাবতলীতে গিয়ে কোনো বাস পাননি। সেখানে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর একটা এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রওনা করেছেন।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন নেতা জানান, শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে সারাদেশ অচল হয়ে পড়েছে। সেই খবর শুনে ঢাকায় সিটি সার্ভিসের চালকরাও গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। সকাল ১০টার পর থেকে ঢাকায় আর কোনো বাসই চলছে না। এতে করে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে যাত্রীরা। বাস নেই এই সুযোগে সিএনজি অটোরিকশাসহ রিকশার ভাড়া কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ