Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধে ধস

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ডাম্পিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ
সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : টাংগাইল পানি উন্নয়ন বিভাগের তত্ত¡াবধানে প্রায় ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন সিরাজগঞ্জের চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধের ৩৬ মিটার এলাকা অসময়ে ধসে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে বাঁধের ডাবিøউ ৭ সাইডের বøক পিসিং কাজ চলার সময় হাঠাৎ করে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলাধীন খাস শাহজানী (খগেন ঘাট) এলাকার ৩৬ মিটার এলাকা আকস্মিকভাবে ধসে যায়। নদীর তলদেশে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজে ব্যাপক ফাঁকি, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এই ধস নেমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অসময়ে শহর রক্ষা বাঁধে ধস নামায় এলাকাবাসীর মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধানে প্রায় ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়। ২০১৬ সালে টাংগাইল পানি উন্নয়ন বিভাগের তত্ত¡াবধানে চৌহালীর সবচেয়ে বেশি ভাঙনপ্রবণ খাসকাউলিয়া থেকে আটাপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে যমুনা নদীর তলদেশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং, নদীর পূর্বপাড় ১ঃ৩ আনুপাতিক হারে ঢালু (সেøাপ) করে এরপর সেøাপে নদীর পানির স্তর থেকে পাড় পর্যন্ত একটার পর একটা বালি ভর্তি জিও ব্যাগ বিছিয়ে স্রোতের আঘাত থেকে অস্থায়ীভাবে নদীর পাড় ভাঙনরোধের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করা হয়। বর্তমানে দ্বিতীয় পর্যায়ে নদী পাড়ের ঢালুতে সিসি বøক বিছিয়ে স্থায়ী ভাঙনরোধ কাজ করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বিভাগের দাবি খগেন ঘাট এলাকায় পানির গভীরতা ১৮ থেকে ১৯ মিটার। তাছাড়া যমুনার নতুন একটি ধরা ওই পয়েন্টে সরাসরি আঘাত করায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ১ মে রাতে শহর রক্ষা বাঁধের টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর সীমানার সোয়া কিলোমিটার এলাকা এবং সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালীর উত্তর সীমান্তে চেকিরমোড় থেকে খাস কাউলিয়া গার্লস হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার বালিভর্তি জিও ব্যাগ ধসে গিয়েছিল। সে সময় পানি উন্নয়ন বিভাগ দাবি করেছিল, প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ¡াস, প্রবলবর্ষণ এবং যমুনা নদীর পানির প্রচন্ড চাপে শহর রক্ষা বাঁধের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ধসে গিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত বছর শহর প্রতিরক্ষা কাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নদীর তলদেশে সঠিকভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং না করা কারণে এবং কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এ ধস নেমেছে। তারা আরো বলেন, বাঁধের সিডিউল অনুযায়ী উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ না করে যেনতেনভাবে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করায় অসময়ে নদী পাড়ে ভয়াবহ ধস নেমেছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বিভাগেরর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধসে যাওয়া স্থানে মেরামতের কাজ চলছে। বাঁধের পশ্চিমে নতুন চর জেগে ওঠার কারণে পানি পূর্বপ্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রচন্ড চাপ এবং ওখানকার মাটি নরম (লোলা) হওয়ার কারণে স্রোতের টানে নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ধসে গেছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কাজের গুণগতমান অনেক ভাল হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ